বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ০৮:৪৩:০১

গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আবুধাবিতে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আবুধাবিতে তিন বাংলাদেশির মৃত্যু

প্রবাস ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির শারজায় গভীর রাতে একটি ফার্নিচার দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিন বাংলাদেশি যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের সবার বাড়ি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায়। তাদের মৃত্যুর সংবাদে পরিবারে বইছে শোকের মাতম।

সোমবার (২৯ মে) দিনগত রাত ৩টার দিকে (আবুধাধির স্থানীয় সময়) সারজা এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হচ্ছেন- ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ী মো. ইউছুফ (৪৩) তিনি সেনবাগ উপজেলার পলতি গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে, তার দোকানের কর্মচারী মো. রাসেল (৩২) তিনি মতৈন গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে এবং অপরজন হচ্ছেন পলতি গ্রামের মীর আহাম্মদের ছেলে মো. তারেক হোসেন।

মঙ্গলবার (৩০ মে) রাতে সেনবাগ থানার ওসি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি ও নিহত ফার্নিচার দোকান ব্যবসায়ীর বড় ভাই ডাক্তার মো. রসুল এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ব্যবসায়ী মো. ইউছুফের বড় ভাই মো. রসুল জানান, তার ছোট ভাই দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে আবুধাবিতে প্রবাস জীবনযাপন করে আসছিলেন। গত দুই বছর আগে তিনি আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে শারজা এলাকায় একটি ফার্নিচার (সোফা তৈরি-বিক্রির ব্যবসা) শুরু করেন।

তিনি দীর্ঘ ৫ বছর আগে সর্বশেষ দেশে এসেছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী নুরনাহার বেগম, মাদরাসা শিক্ষার্থী বড় ছেল মাইনুল ইসলাম মিলন (২০) ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র মেহেদী হাসান সিফাত রয়েছে। 

তিনি আরো জানান, প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার রাতে দোকান বন্ধ করে ভেতরে তার ভাই ইউছুফ, দোকান কর্মচারী রাসেল ও বেড়াতে আসা মো. তারেক হোসেন ঘুমিয়ে পড়েন। আবুধাবির স্থানীয় সময় রাত ৩টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে দোকানে আগুনের সূত্রপাত হলে দোকানের ভেতরে ঘুমের মধ্যেই তিনজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়।

মঙ্গলবার সকালে আবুধাবিতে বসবাসরত ইউছুফের স্বজন আবুল বাশার ও আনোয়ার হোসেন মোবাইল ফোনে কল করে তাদের মৃত্যুর খবর জানান। মৃত্যুর খবর শুনে তিন পরিবারে কান্নার রোল পড়ে যায়। পরিবারগুলোর দাবি নিহতদের মরদেহ যেন দেশের বাড়িতে পাঠায় যাতে করে শেষবারের মতো তাদেরকে একবার দেখাতে পান। সেনবাগ থানার ওসি মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি আরো জানান, মৃত প্রবাসীদের ব্যাপারে তারা বিস্তারিতভাবে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে