প্রবাস ডেস্ক : কাতার আগামী দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে তিন লক্ষাধিক কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নার্স, চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরাও কাতার যেতে পারবেন।
বুধবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি'র সঙ্গে বৈঠকে কাতার সরকারের প্রশাসনিক উন্নয়ন ও শ্রম সমাজ বিষয়ক মন্ত্রী ড. ইসা সাদ আল-ফাফালি আল-নুয়াইমি'র এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ২০১৫ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৩ হাজার কর্মীকে কাতারে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ায় কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আগামী ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য ফুটবল বিশ্বকাপকে ঘিরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলছে উল্লেখ করে নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, কাতারে ব্যাপক কর্মীর চাহিদা রয়েছে।
সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ ও আধাদক্ষ কর্মী নেয়ার জন্য কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন ও শ্রম সমাজ বিষয়ক মন্ত্রীকে অনুরোধ জানান তিনি।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যথষ্টে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী রয়েছে।
এছাড়া কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন ও শ্রম সমাজ বিষয়ক মন্ত্রীকে বাংলাদেশ আসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
এ সময় কাতারের ওই মন্ত্রী বাংলাদেশী কর্মীদের দক্ষতা ও কর্মনিষ্ঠার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশ থেকে আগামী দুই বছরে তিন লক্ষাধিক কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
এ লক্ষ্যে আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে কাতারে বাংলাদেশী কর্মীরা নির্মাণ শ্রমিক ও পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে কাজ করছেন।
কাতারের প্রশাসনিক উন্নয়ন ও শ্রম সমাজ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, 'আমরা সেলসম্যান, নার্স, ডাক্তার, প্রকৌশলী ও অফিস কর্মচারীও নিতে চাই।'
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বর্তমানে তিন দিনের এক সরকারি সফরে কাতারে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন নাসের বিন খলিফা আল-থানি'র সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন তিনি।
কাতার সফর শেষে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে। -যুগান্তর
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস