মুনসুর মুকিজ, কার্ডিফ (বৃটেন) প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার চক্ষু হাসপাতাল সংলগ্ন জমির মালিকানা ও দখল নিয়ে হাসপাতাল কতৃপক্ষের মানববন্ধনসহ বিভিন্ন প্রচারণার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী গোলাম আবু সালেহ সুয়েব।
রোববার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আবু সালেহ সুয়েব বলেন, চক্ষু হাসপাতালের জমি জবর দখল প্রচারণাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তিনি বলেন, শহরতলির মাতারকাপন মৌজার এস,এ ৮৪১ দাগে মোট ভূমির পরিমাণ ৭.১৫ একর। তার মধ্যে ৩.৫৭ একর ভূমি সরকারী মালিকানায় রয়েছে। বাকি ভূমি রয়েছে ব্যক্তি মালিকানায়।
ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে তার পিতা আব্দুল মালিক ০.৬০(দুই বিঘা) একর জমি ভিন্ন ভিন্ন দলিলের মাধ্যমে ক্রয় করেন ১৯৯০ সালে। হালনাগাদ আরএস রেকর্ডে উল্লেখিত জমির মালিকানা আব্দুল মালিকের নামে নিশ্চিত হয়েছে। এমতাবস্থায় সরকারী জমি অথবা সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত চক্ষু হাসপাতালের মালিকানাধীন সম্পত্তির সীমানার বাইরে তারা স্থাপনা নির্মাণ করছেন। এখানে জবর দখলের প্রসঙ্গটি অবান্তর।
আবু সালেহ বলেন, উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চক্ষু হাসপাতালকে সামনে খাড়া করে একটি মহল প্রবাসী বিনিয়োগকে বাঁধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে। তিনি জানান, তাদের মালিকানাধীন জমির বিষয়ে কোর্টে মামলা হয়েছিল। জেলা যুগ্ম জজ আদালতের মামলার রায় তাদের পক্ষে হয়েছে। এ রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত ২০০২ সালে হাইকোর্টে আপিল করলে ওই আপিল মামলার (সিভিল রিভিশন ১৩০৭/২০০২) বিজ্ঞ বিচারক নিম্ন আদালতের রায়কে বহাল রাখেন এবং ক্রয়কৃত জমিতে বাঁধা নিষেধ না দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
এমতাবস্থায় জমির মালিক আমি প্রবাসী গোলাম আবু সালেহ সুয়েব সম্প্রতি দেশে এসে জমির উপর স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নিলে চক্ষু হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস