প্রবাস ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনিতে দুই বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মর্মান্তিক এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় তারা।
পুলিশের বরাতে অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় বুধবার ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সিডনি থেকে ১৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর ক্যাম্পসি থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য, আদালতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ‘নিশান স্কাইলাইন’ গাড়ি নিয়ে দুর্ঘটনার শিকার ‘টয়োটা অরিয়ন’ গাড়ির সাথে প্রতিযোগিতার অভিযোগ আনা হচ্ছে।
গাড়ি চালানো প্রতিযোগিতার কারণেই দুই বাংলাদেশি ছাত্রের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলে জানিয়েছে সিডনি পুলিশ। শহরের ট্রাফিক ও মহাসড়ক টহল পুলিশের কর্মকর্তা স্টুয়ার্ট স্মিথ জানান, দুর্ঘটনার পেছনে গাড়ির অতিরিক্ত গতিও একটি কারণ। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ দেখে পুলিশ এমন ধারণাই করছে।
স্টুয়ার্ট বলেন, আমরা দুর্ঘটনাস্থলের গাড়িগুলোর গতি পরীক্ষা করে দেখেছি। গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। ক্যাম্পসি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক লুকাস সাইওয়েনকিজ বলেন, বিষয়টি এখানো স্পষ্ট না। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, বুধবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৪টার দিকে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টা) অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির বেলমোরের ক্যান্টাবুরি এলাকায় দুই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরো একজন।
নিহত দুজনের মধ্যে একজনের নাম ফাহিম রহমান অনিক এবং আরেকজনের নাম সাকলায়েন উৎস। তাদের উভয়ের বয়স ২০ বছর। আহত আরেক ছাত্র ফখরুও সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
অস্ট্রেলীয় গণমাধ্যমগুলো জানায়, স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৪টার দিকে তিন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট কারে বাসায় ফিরছিল। পথে বেলমোরের কান্টাবুরি এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কারটি রাস্তার পাশের একটি পোলের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে দুমড়-মুচড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত বাকি দু’জনকে উদ্ধার করে সেন্ট জর্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আরেকজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম