তসলিমা নাসরিন : মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আচার ব্যবহার রাজা বাদশাহদের মতো। যা খুশি তাই করেন। তার কাজকম্ম মানুষের ভালো লাগবে কী লাগবে না তা নিয়ে একটুও তার দুশ্চিন্তা নেই। কলকাতার লী রোড নামের ছোট একটি গলির নাম দিয়ে দিলেন 'সত্যজিৎ রায় ধরণী'।
সত্যজিৎ রায়ের ধরণী কি ওই ছোট গলির মধ্যে সীমাবদ্ধ? তার ধরণী তো জানি বিশাল বড়! এই প্রশ্ন কি কেউ করে? মমতা যা বলেন তাতেই পারিষদগণ মাথা নাড়িয়ে সায় দেন। তারা আদেশ পেয়ে লী রোডকে ধরণী বানানোর কাজে উঠে পড়ে লেগেছেন। তা সরণী না রেখে রাস্তার নাম ধরণী রাখলেন কেন? দিদির উত্তর, 'সরণী অনেক হয়েছে'।
সরণী অনেক হয়েছে, সুতরাং রাস্তার নাম ধরণী রাখতে হবে। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ভেতরে একজন কবি বাস করে। কবিটি প্রায়ই অন্তঃমিলের কবিতা লেখে। কবির অন্তঃমিলের ভিকটিম এখন বেচারা রাস্তাঘাট। এখন প্রশ্ন হলো, আবার রাস্তার নাম ধরণী বেশি রাখা হয়ে গেলে তিনি মরণী রাখতে শুরু করবেন না তো? -লেখিকার ফেসবুক থেকে
১ মার্চ, ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস