এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় চালু হলো বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা (এমইভি)। শুক্রবার থেকে এমইভি দেওয়া শুরু করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাশ (পিএলকেএস) এবং সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসাসহ ইতিমধ্যেই মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশি কর্মীদের আলাদাভাবে এমইভির জন্য আবেদন করার প্রয়োজন হবে না।
শুক্রবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এমইভি সুবিধাটি বৈধ পিএলকেএস ধারকদের জন্য আন্তর্জাতিক প্রবেশপথগুলিতে ইমিগ্রেশন বিভাগ দ্বারা সমন্বিত করা হবে। আগামী বছরের জন্য পিএলকেএস বর্ধিত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে এমইভি দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এটি দেশের ভেতরে এবং বাইরে অভিবাসী কর্মীদের যাতায়াতের ব্যবস্থাপনা জোরদার করবে এবং ইমিগ্রেশন পাশের অপব্যবহারের ঝুঁকি কমাবে। এটি বিদেশে মালয়েশিয়ান মিশনগুলিতে নতুন ভিসা আবেদনের জন্য ভিড়ও কমাবে।
এর আগে, বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মালয়েশিয়া সরকার। এতে করে এখন থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনে সে দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীরা সহজেই দেশে আসা-যাওয়া করতে পারবেন। গত ১৫ জুলাই, এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এ তথ্য নিশ্চিত করে।
এ সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রয়োজনে সহজেই দেশে এসে পুনরায় কর্মস্থলে ফিরতে পারবেন। এতে তাদের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং পারিবারিক প্রয়োজনে দেশে আসা-যাওয়াও সহজ হবে।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার এ উদ্যোগ নেয়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি এ বিষয়ে আহ্বান জানানো হচ্ছিল। সরকারের ধারাবাহিক কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়েছে।
গত মে মাসে মালয়েশিয়া সফরকালে উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর গত ১০ জুলাই এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়া ১৫টি দেশ থেকে কর্মী নিয়ে থাকে। এরমধ্যে কেবল বাংলাদেশি কর্মীদেরই মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার পরিবর্তে সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা দেওয়া হচ্ছিল। এ কারণে বাংলাদেশি কর্মীদের বহু ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, কষ্ট পেতে হয়েছে। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হওয়ায় এখন বাংলাদেশি কর্মীরা স্বস্তি পাবেন।