প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে শহরের একটি বাড়িতে বাংলাদেশি এক দম্পতির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত রোববার গোলাম রাব্বি (৫৯) ও তার স্ত্রী শামিমা রাব্বির (৫৭) লাশ তার বন্ধুরা শনাক্ত করেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্রগুলো জানিয়েছে।
কয়েকদিন ধরে দুজনের খোঁজ না পেয়ে বন্ধুরা ওই বাড়িতে গিয়ে দুজনের গুলিবিদ্ধ লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেন বলে এবিসি নিউজ ও ফক্স নিউজ জানিয়েছে।
নিহত রাব্বি প্রকৌশলী এবং শামিমা হিসাবরক্ষক ছিলেন বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ। দুজনই সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ না পেয়ে গত রোববার বিকেলে তার কয়েক বন্ধু সান হোসের বাড়িতে যান।
সেখানে গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ঘরে ঢুকেন। তাদের চোখে পড়ে খুনের ভয়াবহ দৃশ্য। দুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ কাঠের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।
সেখানে একটি চিরকূটও পাওয়া যায় তাতে লেখা ছিল- ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’।
সে সময় নিহত দম্পতির ১৭ ও ২১ বছর বয়সী দুই ছেলে বাড়িতে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন তাদের বন্ধুরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলেও খুনের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। কয়েক দশক আগে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান রাব্বি ও তার স্ত্রী। তারা শান্তিপ্রয় ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাদের বন্ধুরা।
তাদের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল কিনা তাও বলতে পারছেন না বন্ধুরা। তাদের আকস্মিক মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছেন তারা।
রাব্বিকে নিজেদের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে দাবি করে এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের আরেক সদস্য ফয়সাল ইয়াজাদি বলেন, তিনি মসজিদের কাছেই থাকতেন। যেভাবে তাদের মৃত্যু তা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
সেন্টারের আরেক সদস্য হাসান রহিম বলেন, আমি তাকে ৩০ বছর ধরে চিনতাম। তাদের মৃত্যুতে সবাই এতটাই স্তম্ভিত হয়েছে, কেউ বিশ্বাসই করতে পারছে না। সত্যিটা কেউ মেনে নিতে পারছে না।
২৬ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম