প্রবাস ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে বাংলাদেশি দম্পতি গোলাম রাব্বি ও শামিমা রাব্বিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় পুলিশ আটক করেছে তাদের দুই ছেলেকে।
বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন হাসিব বিন গোলাম রাব্বি (২২) ও ১৭ বছর বয়সী তার ছোট ভাই। ওই দম্পতির ছোট ছেলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। দুই ভাইকে জামিন অযোগ্য আদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
দেশটির পুলিশ জানায়, প্রথমে ওই দম্পতির ছোট ছেলের সন্ধান পেলেও তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়নি। বুধবার ১৭ বছর বয়সী ওই ছেলের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ছোট ছেলেকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারে ওই পরিবারের নিয়মিত যাওয়া আসা ছিল। ওই মসজিদের কো-ফাউন্ডার আবদুল জাকা বলেন, এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে, যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। ওই দম্পতির ছেলেরা এ কাজ করতে পারে না। তাদের পরিবার খুব ভালো ছিল।
এদিকে শুক্রবার বড় ছেলে হাসিবকে আদালতে নেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। তবে ছোট ছেলেকে আদালতে নেয়ার ব্যাপারে কোনো দিন নির্ধারণ করা হয়নি।
গত রোববার তাদের বাড়ি থেকে রাব্বি দম্পতির গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের ছেলেরা বাড়িতে ছিল না।
নিহত রাব্বি প্রকৌশলী এবং শামিমা হিসাবরক্ষক ছিলেন বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ। দুজনই সান হোসের এভারগ্রিন ইসলামিক সেন্টারের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কয়েকদিন ধরে গোলাম রাব্বির কোনো খোঁজ না পেয়ে গত রোববার বিকেলে তার কয়েক বন্ধু সান হোসের বাড়িতে যান।
সেখানে গিয়ে তারা বাড়ির দরজা খোলা দেখতে পেয়ে ঘরে ঢুকেন। তাদের চোখে পড়ে খুনের ভয়াবহ দৃশ্য। দুজনের রক্তাক্ত মৃতদেহ কাঠের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।
সেখানে একটি চিরকূটও পাওয়া যায় তাতে লেখা ছিল- ‘দুঃখিত, আমার প্রথম খুনটি ছিল বিরক্তিকর’।
২৯ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এমএস