প্রবাস ডেস্ক : ৪০ হাজার বাংলাদেশি গৃহকর্মী ফেরত পাঠাল সৌদি সরকার। নতুন করে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে এসব আয়াকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এ সময়ে যাদের সেখানে পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগই এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন।
নানা কারণে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম কাজ করতে অনিহা।
অনলাইন আরব নিউজ এ খবর দিয়েছে।
এতে বলা হয়, একটি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী হলেন হুসেইন আল হারথি। তিনি স্থানীয় মিডিয়াকে বলেছেন, সৌদি আরবে যেসব নারী পরিচারিকা হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন তার মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগকেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, এর কারণ হলো তারা কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান। বাংলাদেশে তাদের প্রশিক্ষণে ঘাটতি আছে। ভাষাগত সমস্যা আছে। সৌদি আরবের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা আছে।
নিয়োগকারী বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীরা বলেছেন, যারা এসব আয়া বা পরিচারিকাকে নিয়োগ করেন সেসব ব্যক্তিতে তিন মাস সময় দেয়া হয়। এ সময়ে তারা ওই পরিচারিকার যৌগ্যতা যাচাই করেন।
তারা বলেন, যদি দেখা যায়, ওই পরিচারিকা এ সময়ে যথেষ্ট কর্মক্ষম নন তখন স্পন্সর যোগাযোগ করেন ওই পরিচারিকাকে সরবরাহকারী অফিসের সঙ্গে। তারা ওই পরিচারিকাকে ফেরত পাঠিয়ে দেন। সঙ্গে একটি নোটিস পাঠিয়ে দেন দূতাবাসে।
তাতে ওই পরিচারিকার অযোগ্যতার কারণগুলো বর্ণনা করা থাকে। এরপর ওই পরিচারিকাকে রিক্রুটমেন্ট অফিস হস্তান্তর করে দূতাবাসে। সেখান থেকে তাকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।
আরেকটি রিক্রুটমেন্ট অফিসের স্বত্বাধিকারী আলী আল ওমারি বলেন, বাংলাদেশ থেকে রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে দেড় লাখ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের কনসুলেট জেনারেলের একটি সূত্র বলেছে, বিদেশে কাজে পাঠানোর আগে গৃহকর্মীদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের জন্য বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করছে।
২৪ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম