বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন, ২০১৬, ০১:৪৪:০৯

ইস্তানবুল বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার তসলিমা নাসরিন

ইস্তানবুল বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার শিকার তসলিমা নাসরিন

প্রবাস ডেস্ক : নিউ ইয়র্ক থেকে জেনেভা যাওয়ার পথে ইস্তানবুল বিমান বন্দরে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তসলিমা নাসরিন। তবে সেটা নিজের মনের ভুলে। ঘটনাটি ঘটার পর লেখিকা নিজেই তার ফেসবুকে সেকথা জানান। নিন্মে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো।

তসলিমা নাসরিন (ফেসবুক থেকে) : নিউ ইয়র্ক থেকে জেনেভা আসার সময় দুর্ঘটনা ঘটল। ঘটল ইস্তানবুল বিমান বন্দরে। বন্দরে যে চেয়ার-এ বসেছিলাম, সেখানেই রয়ে গেছে আমার ব্যাগ, যে ব্যাগএ কম্পিউটার, মোবাইল ফোন,আমেরিকার গ্রীন কার্ড, আমেরিকার সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, ইন্সুরেন্স কার্ড এরকম নানা দরকারী কিছু। হাতে ছিল আই প্যাড। ওতেই লিখতে লিখতে বোর্ডিং কার্ড নিয়ে প্লেন-এর কাছে গিয়েছি।

২ মিনিট মাত্র পার হয়েছে গেট ছেড়েছি। অমনি খেয়াল করলাম আমার কাঁধে কম্পিউটার ব্যাগ নেই। বাস ড্রাইভার কে বললাম, গেটএ নিয়ে চলুন আমাকে, কম্পিউটার ফেলে এসেছি। নেবে না, বিমানের ক্রু দের বললাম, তারা কেউ আমাকে সাহায্য করবে না। লোক পাঠিয়েও আনবে না। তুর্কিশ এয়ারলাইন্স এইভাবে আমাকে অসহযোগিতা করলো। একবার চেয়েছিলাম নেমে যাই, আগে ব্যাগ নিই, পরে জেনেভা। কিন্তু আবার ভাবলাম, যদি ব্যাগ কেউ এর মধ্যে নিয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে তো পরের ফ্লাইটএর টিকিট করতে পারব না।

ক্রুরা ৪০ মিনিট আরো হাতে সময় থাকার পরও আমাকে গেটএ যেতে দেয়নি কম্পিউটার নিয়ে আসতে। বলেছে জেনেভা বন্দরের হারানো ব্যাগ অফিসএ খোঁজ করতে, করেছি খোঁজ। ওরা বলল ইস্তানবুল এ খোঁজ করুন। হোটেলে এসে Tweet করলাম। তুর্কিশ এয়ারলাইন্স থেকে কেউ একজন উত্তর লিখল। আমার কাছ থেকে সব জেনে ওরা জানিয়ে দিয়েছে ইস্তানবুলের হারানো ব্যাগ ডিপার্টমেন্ট-এ।

এখন পেলে হারানো ব্যাগ ডিপার্টমেন্ট আমাকে জানাবে। তুর্কিশ এয়ারলাইন্সএর লোকেরা প্রথমেই সহযোগিতা করলে ব্যাগ পাওয়া যেত। যাই হোক, হাতে Ipad ছাড়া কিছু নেই। কম্পিউটারএ আমার সব লেখালেখি, ছবি; ব্যাক আপ নেই। অপেক্ষা করছি কোনো সৎ লোক যদি দিয়ে দেয় এতগুলো দরকারী জিনিস। সৎ লোক পৃথিবীতে আছে তো কিছু, নাকি?  
১৬ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে