রফিকুল ইসলাম আকাশ, যুক্তরাষ্ট্র থেকে: গত ১লা জুলাই শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে শান্তিপূর্ণ মানুষের উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী জঙ্গি হামলায় ২২ জন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। যার মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন বাংলাদেশী, একজন ভারতীয় , নয়জন ইতালীয়ান, সাতজন জাপানী নাগরিক।
বাংলাদেশী পাঁচজন হলেনঃ
রবিউল ইসলাম (পুলিশ অফিসার), সালাহউদ্দিন খান (পুলিশ অফিসার ),ইসরাত আখন্দ, ফারাজ হোসেন, অবিন্তা কবির।
ভারতীয় নাগরিকঃ
তারুশি জৈন।
ইতালীয়ান নয়জন হলেনঃ
আদেলে পুলিজি, ক্লাউদিয়া দান্তোনা, ক্রিস্তিয়ানো রসি, মার্কো তোন্দাত, নাদিয়া বেনেদিত্তি, সিমোনা মন্তি, ক্লাউদিয় কাপেল্লি, মারিয়া রিবোলি, ভিচেন্সা দালেস্ত্রো।
জাপানী সাতজন হলেনঃ
তানাকা হিরোসি, সাকাই ইউকু, কুরুসাকি নুবুহিরি, ওকামুরা মাকাতো, শিমুধুইরা রুই, কোয়ো ওগাসাওয়ারা, হাসিমতো হিদেকো।
ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলায় নিহত হওয়া সবাইকে ওয়াশিংটন ডিসির ডুপন্ট সার্কেলে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করা হয়। ২রা জুলাই, শনিবার সন্ধ্যা আটটায় মোমবাতি প্রজ্জলিত করে ডিসি এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে সহমর্মিতা প্রকাশ করেন আমেরিকানরা । দেশ জাতির ভেদাভেদ ভুলে সবাই একসাথে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। নিহতদের পরিবারের প্রতি জানানো হয় আন্তরিক সমবেদনা।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিহত হওয়া কয়েকজনের বন্ধুরা তাদের স্মৃতিচারন করেন। অনেকের কথাতেই উঠে আসে নিহতরা কেমন করে জীবনের জয়গান গেয়ে গিয়েছেন সবসময়। ঢাকায় ঘটে যাওয়া জঙ্গি হামলার শোকের ছায়া সেদিন পৌঁছে গিয়েছিলএই সূদূর ওয়াশিংটন ডিসিতে। স্তম্ভিত হয়ে যাওয়া সবার কন্ঠেই ছিল জঙ্গি দমনে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন আর যে যেই অবস্থানেই আছেন সেই অবস্থান থেকেই সহযোগীতার আশ্বাস।
নিহতদের মধ্যে তিন বন্ধু ছিলেন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, ঢাকার (এআইএসডি) প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী। এআইএসডির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে ইশাবা হক একটি ফেইসবুক ইভেন্টের মাধম্যে আয়োজন করেন স্মরন সভা আর মোমবাতি প্রজ্জ্বলিত করে সহমর্মিতা প্রকাশের অনুষ্ঠান।
৫ জুলাই, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস