হাবিবুল্লাহ আল বাহার, জার্মানি থেকে: বিএনপির সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার মামলায় হাইকোর্টের দেয়া রায়ের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জার্মানি শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বার্লিনের একটি রেস্টুরেন্ট আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এই রায়কে ন্যায়বিচারের পরিপন্থী এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসামূলক রায় বলে উল্লেখ করেন।
জার্মানি বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক গনি সরকারের পরিচালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জার্মানি বিএনপির ১ম যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মোস্তাক খান, জার্মানি বিএনপির নেতা কাজী সুরুজ, আনহার মিয়া, সাইফুল করীম মজুমদার, শরিয়ত খান মিঠু, শাহিদুল ইসলাম মিলন, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া রায়ের তীব্র সমালোচনা বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়েই অবৈধ সরকার তাকে মামলা দিয়ে, সাজানো রায় দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মামলা ও রায় সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং যার কোনো ভিত্তি নেই বলে উল্লেখ করেন নেতারা। রায়ের তীব্র সমালোচনা করে তাঁরা বলেন, যেই মামলায় তিনি আগেই খালাস পেয়েছেন সেই মামলায় তাঁকে সাজা দেয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ছাড়া আর কিছুই নয়।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা এবং রায়কে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অনির্বাচিত সরকার সাংবিধানিক সকল প্রথা ও প্রতিষ্ঠানকে একে একে ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসন, সামাজিক ন্যায়বিচার কিছুই এখন আর অবশিষ্ট নেই। মানুষের শেষ ভরসাস্থল বিচারবিভাগকেও তারা ধ্বংস করে সংকীর্ণ রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য ব্যবহার করে যাচ্ছে। তাঁরা বলেন, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এ রায় বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়, এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্র করে সাজানো মামলায় রায় দিয়ে তারেক রহমানের অগ্রযাত্রাকে ফ্যাসিবাদী সরকার রুখতে পারবে না।
বক্তারা বলেন, মামলা, হামলা, গুম-খুন করে ফ্যাসিবাদী সরকার টিকে থাকতে পারবেনা। ইতিহাসে কোনো ফ্যাসিবাদি জালেম সরকারের টিকে থাকার কোনো নজির নেই বলে তাঁরা মন্তব্য করেন। বেআইনি সরকারের কাছে আইনের শাসন আশা করা যায় না মন্তব্য করে বক্তারা দেশে বিদেশে সকলকে এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।
২৩ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস