প্রবাস ডেস্ক : রাষ্টীয় সন্মানে বিখ্যাত লেখিকা মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে কলকাতার কেওড়াতলা শ্মশানে। হিন্দু ঘরে জন্ম নেওয়া এই লেখিকার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় সনাতন (হিন্দু) ধর্মের নিয়মানুসারে। যেটা তসলিমার কাছে কিছুটা অবাক লেগেছে। তাই তিনি তার মৃত্যুর পর মরণোত্তর দেহ দান করতে চান কোন মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে সে কথা জানান নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন।
“মহাশ্বেতা দেবী গোর্কি সদনে আমার উতল হাওয়া বইটি উদ্বোধন করেছিলেন, সেই কত আগের কথা। মনে হয় এই সেদিনের ঘটনা। দেখতে দেখতে যুগ চলে যায়। আজ তার সৎকার হলো। কেওড়াতলা শ্মশানে দেহটা পোড়ানো হলো। ভেবেছিলাম মরণোত্তর দেহ তিনি দান করে যাবেন কোনও মেডিক্যাল কলেজে। কেন দান করেননি জানি না।” লেখেন তসলিমা।
নির্বাসিত এই লেখিকা আরো লেখেন, “সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়কেও পোড়ানো হয়েছিল। ঘোর নাস্তিক ছিলেন মানুষটা। তারপরও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান মেনে সৎকার হয়েছিল তারও। আমার ছোটদার বেলাতেও তাই হলো। ছোটদাও তো জীবনের শেষ দিকে পাঁড় নাস্তিক হয়ে উঠেছিলেন। আমার বাবাও তো বিশ্বাসী ছিলেন না। তারও শেষকৃত্য ধর্ম মেনেই হয়েছিল।”
শেষ ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন তিনি। মৃত্যুর পরে যেন তার দেহটি দান করা হয়। তসলিমা নাসরিন বলেন, “আমার বেলায় কেউ যেন ভুল না করে, যেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করি, আশে পাশের মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে আমার মরণোত্তর দেহ যেন পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পোড়ানো, কবর দেওয়া, বা টাওয়ারের ওপর রেখে দেওয়া --- কোনওটিই যেন না হয়।”
৩০ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস