এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : বাগাড় মাছ একটি মহাবিপন্ন প্রাণী। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী, বাগাড় মাছ ধরা, শিকার ও বিক্রি দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ আইন থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়ন না থাকায় বাগাড় শিকার ও প্রকাশ্যে বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ১ লাখ ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে মহাবিপন্ন দুটি বাগাড় মাছ।
স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ গতকাল মঙ্গলবার ৩৭ কেজি ওজনের একটি বাগাড় ঢাকার এক পরিচিত ব্যক্তির কাছে প্রায় ৫২ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।
বাগাড়টি পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় জেলেদের জালে ধরা পড়ে। এর আগে গত সোমবার সকালে প্রায় ৪৯ কেজি ওজনের আরেকটি বাগাড় মাছ ৭১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এটি বিক্রি করেন আরেক মাছ ব্যবসায়ী চান্দু মোল্যা।
২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে নদীতে নেমেছেন জেলেরা। ইলিশ, পাঙাশের সঙ্গে ধরা পড়ছে মহাবিপন্ন প্রাণী বাগাড়ও।
গতকাল সকালে পদ্মা ও যমুনা নদীর মোহনায় পাবনার ঢালার চরের জেলে মাসুদ হালদারের জালে বড় একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়ে।
বিক্রির জন্য দৌলতদিয়া ঘাট টার্মিনাল-সংলগ্ন আনুখার আড়তঘরে বাগাড়টি নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে মাছ ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কিনে নেন। এর আগেও একটি বাগাড় মাছ ধরা পরে জেলেদের জালে। সোমবার সকালে নিলামে তোলা হলে বাগাড়টি সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কেনেন।
তবে রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেছেন, বাগাড় শিকার ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আছে, এমন কোনো তথ্য তাঁদের জানা নেই। যে কারণে বাগাড় শিকার বা বিক্রির ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো অভিযান চালান না।
মৎস্যজীবীরা বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞার সময়কাল ২ নভেম্বর পার হওয়ার পর স্থানীয় লোকজনের পাশাপাশি মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ ও পাবনার জেলেরা নদীতে মাছ শিকারে নেমে পড়েন।