রাজবাড়ী প্রতিনিধি: দেশটা উন্নত হয়েছে, এখন 'চালকবিহীন ট্রেন চলছে' কথাটি শুনতে অবাক হওয়ার মতো, তাই না! পাঠক হয়তো থমকে গিয়ে বুঝতে পারেন এটি কোনো কাল্পনিক গল্প কিংবা উপন্যাসের কথা বলা হচ্ছে। মোটেও নয়। বাস্তবেই আজ রোববার সকালে রাজবাড়ী থেকে পাংশা স্টেশন পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার ‘ফরিদপুর এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি চলেছে চালক ছাড়াই।
রাজবাড়ী রেলওয়ে সূত্র জানায়, ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল আটটা ১০ মিনিটে ফরিদপুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার কথা ছিল। এ জন্য ট্রেনটি রাজবাড়ী রেল স্টেশনের ২ নং প্লাল্টফর্মে ছয়টি বগি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। ট্রেনে যাত্রী ছিল ৭০ থেকে ৮০ জন।
সকাল আটটায় ট্রেনটির ইঞ্জিন চালু করে প্রধান চালক মোহাম্মদ আলী, সহকারী মো. ফয়সাল ও ট্রেনের পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পার্শ্বে একটি চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। হঠাৎ করেই ট্রেনটি পেছন দিকে চলতে শুরু করে। এক পর্যায়ে প্রচণ্ড বেগে ট্রেনটি পর্যায়ক্রমে সূর্যনগর, বেলগাছি, কালুখালী ও পাংশা স্টেশন অতিক্রম করে। এ সময় ট্রেনের ভিতরে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে। এক পর্যায়ে ট্রেনটি পাংশা স্টেশন পার হয়ে আমতলী নামক স্থানে গিয়ে থামে।
জানা গেছে, এক কিশোর যাত্রী ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের হুইচ পাইচ খুলে দিয়ে ট্রেনটি থামায়। সকাল ১০ টায় রাজবাড়ী পোড়াদহ সাটল ট্রেনের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে চালকবিহীন ফরিদপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নিয়ে রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ ঘটনায় প্রায় দুই ঘণ্টা রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
রাজবাড়ী স্টেশন মাস্টার কামরুজ্জামান বলেন, ‘চালক, সহকারী চালক ও পরিচালক তিনজনই ট্রেনটি চালু রেখে চা পান করছিলেন। হঠাৎ করেই ট্রেনটি চলতে শুরু করে।
রেল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় চালক মোহাম্মদ আলী, সহকারী চালক ফয়সাল ও গার্ড সুভাষ চন্দ্র শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে। এবং পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করেছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে থানার ওসি সুনিল কুমার ঘোষ জানান, ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটির চালক মোহাম্মদ আলীকে ট্রেনটি আনতে পাংশায় পাঠানো হয়েছে। তিনি ফিরে এলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
১১ এপ্রিল,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/ডিআরএ