রাজশাহী: ক্লাস বন্ধ করে ছাত্রীদের নিয়ে বিদ্যালয়েই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করলেন সহকারী গ্রন্থাগারিক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান তার ফেসবুকে গায়ে হলুদের তিনটি ছবি শেয়ার করেন। ছবিগুলো ফেসবুকে প্রকাশ প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীও।
ছবির বর্ণনায় ওই শিক্ষক মিজানুর রহমান লেখেন, মহিশালবাড়ী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. ইব্রাহিমের আগামীকাল (শুক্রবার) শুভ বিবাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে সুসম্পন্ন হইবে। সে লক্ষ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) অত্র বিদ্যালয়ে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়।
বিদ্যালয়ে গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানের ওই ছবি প্রকাশের পরপরই ভাইরাল হয়ে যায় এসব ছবি। সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
প্রকাশিত ছবিগুলোতে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের আঙিনায় ঘটা করে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়েছে। এর একটি ছবিতে সহকারী গ্রন্থাগারিক মো. ইব্রাহিমের মুখে গামছা ধরে আছেন সহকারী শিক্ষক আশরাফুল হক। পাশে বসে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী। আশপাশে ঘিরে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীরা। সেখানে অন্য শিক্ষকরাও ছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মো. ইব্রাহিমকে একে একে মিষ্টিমুখ করান।
বিদ্যালয় ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের এ আয়োজন উপভোগ করতে দেখা গেছে।
শুক্রবার উপজেলার মহিশালবাড়ি এলাকার বাসেদ আলীর মেয়ে নাজনিনেন সঙ্গে ঘটা করেই বিয়ে হয়েছে সহকারী গ্রন্থাগারিক মো: ইব্রাহিমের। ইব্রাহিমের বাড়ি বিদ্যালয়ের পাশেই।
এদিকে বিদ্যালয়ে এমন অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই সহকারী গ্রন্থাগারিকের বিয়ে হচ্ছিল না। তার বিয়ের এমন খবরে শিক্ষার্থীরা খুশি হয়ে এ আয়োজন করেছে। বিদ্যালয়ের টিফিন চলাকালীন পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ওই অনুষ্ঠান শেষ করা হয়েছে।
সমালোচনার বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়ে এমন অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ নেই বলে দাবি করেছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামশুল কবির। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাতেই প্রধান শিক্ষকের ফেসবুকে সহকারী গ্রন্থাগারিকের গায়ে হলুদের ছবি দেখেছেন। পরে শুক্রবার সকালে এনিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। এ আয়োজনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। তবে অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
অন্যদিকে দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ নেওয়াজ।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস