শুক্রবার, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৮:২৮

সৌখিন ক্রেতাদের পছন্দ খামারের গরু

সৌখিন ক্রেতাদের পছন্দ খামারের গরু

রাজশাহী থেকে : একদিন পরই পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে হাজার হাজার ভারতীয় গরু-মহিষ। রাজশাহীর হাটগুলোতে ভারতীয় গরুর সাথে দেশী গরু পাল্লা দিচ্ছে সমান তালে।

একটু সৌখিন ক্রেতারা পছন্দ মতো বড় গরু কিনতে ছুটে যাচ্ছেন খামার বাড়িতে। তবে সময় যত ঘটিয়ে আসছে হাট ছেড়ে কোরবানি পশু মধ্য শহরে উঠছে। কোর্ট স্টেশন, রেলওয়ে মাঠ ও সাহেব বাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে জমে উঠেছে ছাগলের হাট। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে এই হাট।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ছাগল ক্রয় করতে আসা ইকবাল হাসান টাইগার বলেন, দাম সামান্য বেশি হলেও হাতের নাগালের মধ্যে পাওয়ায় যাচ্ছে। গাড়িভাড়া ও অন্যান্য ঝামেলা থেকেও মুক্তি পেয়েছেন। তিনি এক জোড়া দেশী ছাগল কিনেছে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে। তবে বিক্রি করতে আসা ডিঙ্গাডোবা মিশন মোড়ের সুমন বলেন গত বছরের তুলনায় এবার খাসির দাম কম। তিনি যে খাসিটি বিক্রি করলেন তাতে তার দেড় হাজার টাকার উপরে লোকসান হয়েছে।

নগরীর উপকন্ঠে পবা উপজেলায় গড়ে উঠেছে উত্তরবঙ্গের বৃহৎ গরুর খামার ‘পিওর হারভেস্ট বিডি’। এখানে পাওয়া যাচ্ছে বড় আকারের জার্সি, ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, হরিয়ানা ও নেপালী জাতের গরু। আছে ক্রেতারা চাহিদা মেটাতে কিছু বড় আকারে দেশী গরু ও শংকর প্রজাতির দেশয়াল (দেশী বিদেশী প্রজাতির ক্রস)। হরিয়ানা বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকায়, নেপালী ১ লাখ থেকে দেড় লাখ, ফ্রিজিয়ান দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার, শাহীওয়াল ১ লক্ষ থেকে ২ লক্ষ এবং জার্সি সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশী গরু পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। একটু সৌখিন ক্রেতারা কষ্ট করে হলেও খামারে এসে পছন্দ মতো বড় গরু কিনতে পাচ্ছেন। গত ২ মাস থেকে খামার থেকে গরু বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হলেও অল্প সময়ে ক্রেতাদের সাড়া পেয়েছেন। ন্যাচারাল খাবার খাওয়ানো ও যত্নের সাথে পালনের জন্য খামারের গরুর কদর বাড়ছে। আর ক্রেতারাও সচেতন হয়েছেন।
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে