নিউজ ডেস্ক : ১৯৯৩ সালে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য বাস উপহার দেন।
সেই থেকে এ পর্যন্ত বাসটি প্রতিনিয়ত রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীদের বিরতিহীন পরিবহন করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ করেই বাসে নাম পরিবর্তনের ইচ্ছে জাগে ছাত্রলীগের, মুছে দেয়া হলো খালেদা জিয়ার নামও। ফলে বাস থেকে কালো কালিতে মুছে দেয়া হয় বেগম খালেদা জিয়ার নামটি।
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাঈম উদ্যোগটি নিয়েছিলেন। এই ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন তারই অনুসারীরা। এরপর পরই সমালোচনার ঝড় উঠে ফেসবুকে। জানতে পেরে উদ্বিগ্ন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।
রাজশাহী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল ভট্টাচার্য তার টাইম লাইনে ছবিটি প্রথম পোষ্ট করেন। তিনি লেখেন, বাংলাদেশ তথা রাজশাহী কলেজের কোন জায়গায় কোন চোর এর নাম থাকবে না, থাকতে পারে না। আজ রাজশাহী কলেজ ছাত্র ছাত্রীদের বাস থেকে খালেদা চোর এর নাম মুছে ফেলছেন রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয় বড় ভাই নাইমুল হাসান নাঈম ভাই।
এরপর পরই ফেসবুকে নানা ভাবে শেয়ার হতে থাকে ছবিটি। বিষয়টি নিয়ে কলেজের শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাদের মতে, উপহার দেয়ার কারণে নামটি মুছে ফেলার কোন প্রসঙ্গ আসে না। কোন নেতা ব্যাক্তিগত স্বার্থে যাই করুক না কেন শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য পাঠানো জিনিসের নাম মুছে ফেলা উচিত হয়নি।
তবে বিষয়টি জানতে চাইলে রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান নাইম বলেন, আমরা রাজশাহী কলেজ ছাত্রলীগ উপর থেকে নির্দেশ না আসলে কাজ করি না। মহানগর ছাত্রলীগের নির্দেশে বাস থেকে খালেদা জিয়ার নামটি মুছে ফেলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া বা জিয়া পরিবার এতিমদের টাকা আত্মসাৎ করে নানা জায়গায় ভিত্তি স্থাপন করেছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস উপহার দিয়েছে। এর আগেও জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
জিয়া পরিবারের নাম যে সকল স্থানে আছে সেগুলো পরিবর্তন করার ধারাবাহিকতায় কাজটি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। তবে বিষয়টি জানতে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস