রাজশাহীতে মোবাইল ফোনে প্রেমের সূত্র ধরে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে ওই কিশোরীকে নাটোরে নিয়ে গিয়ে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। পরে তাকে হাত পা বেধে কোন এক নির্জন জঙ্গলে ফেলে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
জানা যায়, নগরীর সাধুর মোড় এলাকার হাফিজুল ইসলামের মেয়ে ছন্দার সাথে মুঠোফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে নাটোরের সাগর নামক ছেলের সাথে। এ প্রেমের যোগসূত্র তৈরী করেন সাধুর মোড় এলাকার আজিজ নামক এক দোকানদার।
আজিজের বন্ধু সাগরের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে সোমবার বিকেলে ছন্দার সাথে দেখা করতে আসে। পরে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিকেল চারটার দিকে নাটোরে নিয়ে যায়। এরপর থেকেই সাগর তার মুঠোফোনটি বন্ধ করে দেয়। পরে ছন্দাকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু হয়। রাত ১০ টার দিকে কোন ক্রমে ছন্দা তার ফুফু সেলিনাকে ফোন দিয়ে বলে তাকে আটকে রেখে কোন জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়েছে।
সেলিনা বেগম বলেন, সন্ধ্যার দিকে আমার ভাতিজি ছন্দা আমাকে ফোন করে বলে, বিকেলে তাকে জোর করে নাটোরে নিয়ে যায় দোকানদার আজিজের বন্ধু ও কথিত প্রেমিক সাগর। এরপর তাকে হাত পা বেধে আটকে রাখে। পরে আবার বাইপাস এলাকা থেকে অনেক দূরে তাকে অন্ধকারে কোন এক জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেয়। আজিজকে প্রশ্ন করলে সব পাওয়া যাবে। সে জানে আমাকে কোথায় আর কেন নিয়ে গেছে।
এরপরেই তার কলটি কেটে যাওয়ায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে সেলিনা বেগম ছন্দার বাসায় বিষয়টি অবহিত করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় খোজাখুজি শুরু হয়। পরে দোকানদার আজিজকে নিয়ে নাটোরে উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয় স্থানীয় লোকজন ও তার পরিবার।
এ বিষয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমানুল হক আমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি। আমরা ব্যবস্থা নিতে চাইলে তারা স্থানীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন। তবে থানায় অভিযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি