ফেসবুকের প্রোফাইলে অধিকাংশ মানুষই তার প্রিয় মুহুর্তের কোন ছবি কিংবা নিজের সবচেয়ে ভাল ছবিটি দিয়ে থাকে। কিন্তু রাসেল তার ফেসবুকের প্রোফাইলে নিজের ছবি না দিয়ে কেন রাজনের কান্না মাখা মুখটির ছবি দিয়েছেন? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাসেল বলেন, ‘যত দিন আমার বাংলাদেশের মাটিতে রাজন হত্যার বিচার কার্যকর করা না হবে, ততদিন আমার প্রোফাইলে এই ছবি থাকবে। কারণ রাজনের কান্না শোনার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের দেশকে স্বাধীন করেনি।
সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে রাসেল বলেন, ‘শুধু রাজন নয়, সিলেটের ওই নিস্বংশ হত্যাযজ্ঞের পর খুলনা ও নাটোরের বড়াইগ্রামেও শিশুদের উপর বর্বর নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি কার্যকর করতেই হবে। তা না হলে বাঙালী হিসেবে আমাদের মাথা আরো নিচু হয়ে যাবে। রাজনহত্যার মুল আসামীকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য সৌদি প্রবাসিদেরকেও ধন্যবাদ জানান তিনি।
শুধু প্রোফাইল পিকচার নয়, নওগাঁ-রাজশাহী মহসড়কের দুই ধারে গহর আলী নামের শত বর্ষ বয়সি যে বৃদ্ধ ১২ হাজার তাল গাছ লাগিয়েছেন, সেই বৃদ্ধকে সম্মান জানিয়ে সৃজনশীল এই যুবক তার কাভার ফোটেতে সেই বৃদ্ধের ছবি আপলোড করেছেন।
প্রসঙ্গত, বাঘার ওই যুবক স্কুল ভিত্তিক লাইব্রেরী গড়া ও বইপড়া কর্মসূচী পরিচালনা এবং বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বনে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০১০ থেকে সৃজনশীল মানুষ গড়র লক্ষ্যে ‘আলোর মিছিল’ নামে একটি নিরব আন্দোলন করে আসছেন। এখন পর্যন্ত রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট এবং নাটোরের লালপুর ও বাগাতিপাড়ার মোট ৪১টি স্কুলে সৃজনশীল মানুষগড়ার লক্ষ্যে তিনি এ আন্দোলন পরিচালনা করছেন।
৭ আগস্ট,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/আরএম/এমআর