রাজশাহী : ঢাকা থেকে ফিরে কর্মীসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মনোনয়নবঞ্চিত রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ। এ সময় নেতাকর্মীরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সভায় কান্না চেপে ভেজা চোখে নৌকায় ভোট চেয়ে আসাদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর নৌকাকে জয়ী করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। নৌকার পক্ষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। বিভেদ ভুলে নৌকার জয় আনতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান আসাদ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বিমানযোগে ঢাকা থেকে রাজশাহী ফেরেন। শাহ মখদুম বিমানবন্দরে নেমেই নেতাকর্মীরা তাকে দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা আসাদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সেখান থেকে সোজা নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান আসাদ।
এ সময় আগে থেকে সেখানে অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীরা আসাদকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি নেতাকর্মীদের সান্ত্বনা দিয়ে বরাবরের মতোই পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পরে কার্যালয়ের সামনে পথসভায় যোগদান করেন আসাদ।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চঞ্চল, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম আসাদুজ্জামান, আলফোর রহমান, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক ইমদাদুল হক, দফতর সম্পাদক ফারুক হোসেন ডাবলু, উপ-প্রচার সম্পাদক আফজাল হোসেন বকুল, উপ-দফতর সম্পাদক প্রভাষক শরিফুল ইসলাম ও জেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আলী আজম সেন্টু প্রমুখ।
পবা ও মোহনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত রাজশাহী-৩ আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন আসাদ। নেতাকর্মীদের নিয়ে কয়েক বছর ধরে গ্রামে গ্রামে গিয়ে গণসংযোগ চালিয়েছেন। গুছিয়ে নিয়েছিলেন ভোটের মাঠ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেলেন না ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা পোড়খাওয়া এই নেতা।
নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান আসাদ সবসময় তৃণমূল নেতাকর্মীদের পাশে আছেন। তিনিই জেলা আওয়ামী লীগকে শক্ত ভিত গড়ে দিয়েছেন। মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের পক্ষ নেয়ায় স্থানীয় সংসদ সদস্যেরও বিরাগভাজন হয়েছেন তিনি।
নির্বাচনের আগে কয়েকটি জরিপে তার নাম ছিল সবার উপরে। কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে বর্তমান এমপি আয়েন উদ্দিনকেই মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। যদিও আয়েন নানান কারণে বিতর্কিত।