শিক্ষিকার আত্মহত্যা না হত্যা
রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘায় স্বামীর ওপর অভিমান করে সুলতানা বীনা (২৭) নামের এক স্কুল শিক্ষিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার বিকেল ৫টায় উপজেলার মশিদপুর গ্রামে বীনার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্বামীর বাড়ির লোকজন বীনার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বললেও তার বাবা-মার পরিবারের সদস্যদের দাবি, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
সুলতানা বীনা বাঘার মিলিক বাঘা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক আব্দুল হালিমের মেয়ে ও নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মশিদপুর গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম পিন্টু তার স্বামী। পিন্টু একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার।
রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ জানান, ঘটনার পর বীনার স্বামীই তাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। পরে বাঘা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুরুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে ঘটনাটা কিছুটা রহস্যজনক। তাই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
বীনার স্বামী রবিউল ইসলাম পুলিশকে জানিয়েছেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার ওপর অভিমান করে বীনা আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনা টের পাওয়ার পর তাকে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।
ওসি মাহমুদ জানান, পিন্টুর পরিবারের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হলেও বীনার পরিবার তা মানতে রাজি না হয়ে শ্বাসরোধে হত্যার দাবি করেছে। এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন বীনার বাবা আব্দুল হালিম।
তাই আপাতত বীনার মরদেহ স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই রাখা হয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।
১৮ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ