রাজশাহী থেকে : রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে জমিতে রোপণ করা পেঁয়াজ বীজ চুরির হিড়িক পড়েছে। বীজ জমিতে রোপণ করার পর সেগুলো পাহারা দিতে কৃষকের রাতের ঘুম হারাম হতে বসেছে।
কৃষক এখন তার বীজ রক্ষা করতে মরিয়া। তাদের আ'শ'ঙ্কা যদি পেঁয়াজের দাম সাধারণের ক্রয় সীমার মধ্যে না আসে তবে পেঁয়াজ ঘরে তোলা পর্যন্ত তাদেরকে ক্ষেত পাহারা দিয়ে থাকতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিস ও স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের পেঁয়াজ চাষিদের সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলার এবার চার হাজার ৩শ ৪৩ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ ও বীজ (ছোট ছোট পেঁয়াজ) রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে কৃষক পেঁয়াজের জন্য জমি প্রস্তুত ও কোথাও কোথাও বীজ রোপণ শুরু করেছেন।
গাছ পেঁয়াজের আবাদ বেশি হয়েছে উপজেলার কাচারীকোয়ালীপাড়া, ভবানীগঞ্জ পৌরসভা, বড়বিহানালী, মাড়িয়া, হামিরকুৎসা, গোয়ালকান্দি ও যোগিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। এসব গ্রামের কৃষকরা তাহেরপুর ভবানীগঞ্জসহ বিভিন্ন হাট থেকে ২শ থেকে আড়াইশ টাকা কেজি দরে বীজ কিনে তা জমিতে রোপণ করা শুরু করেছেন।
মোহনপুর গ্রামের কৃষক দুলাল ও মাড়িয়ার লুৎফর জানান, তারা দুই আড়াই শতক জমিতে পেঁয়াজের চারা রোপণ করেছিলেন। অথচ রোপণের পর সেগুলো জমিত আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। রাতের আধারে সেগুলো মাটি আলগা করে তুলে নিয়ে গেছে চো'রের দল। ওই পেঁয়াজ বীজগুলো তারা ২শ ২০ টাকা কেজি দরে কিনেছিলেন।
একইভাবে চু'রির কথা জানিয়ে হামিরকুৎসার কৃষক মঞ্জুর রহমান বলেন, প্রতি বছর তিনি বীজ পেঁয়াজের আবাদ করে থাকেন। এবারও চার শতক জমিতে বীজ পেঁয়াজ রোপণ করেছিলেন। রোপণের একদিন পর জমিতে গিয়ে দেখেন প্রায় অর্ধেক জমির রোপণ করা পেঁয়াজ কে বা কারা চু'রি করে নিয়ে গেছে। এরপর তিনি জমিতে চুক্তি ভিত্তিক পা'হা'রাদার নিযুক্ত করেছেন।
মঞ্জুর জানান, জমিতে চারাগুলো না গজানো পর্যন্ত সেগুলো পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। তাছাড়া আবার সেগুলো চুরি হয়ে যাওয়ার আ'শ'ঙ্কা করছেন তিনি। একই গ্রামের পেঁয়াজ চাষিরা জানান, চুরি যাওয়া পেঁয়াজ বীজ বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, আবার অনেকে সেগুলো রান্নার কাজেও ব্যবহার করছেন।
এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুর রহমান জানান, চু'রির এমন ঘটনা আমরা চাষিদের কাছে থেকে শুনেছি। এটা প্রশাসনের দেখভালের বিষয়। আমরা কৃষকদের স'ত'র্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।