শুক্রবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১০:৪৮:৩০

জুমার নামাজের রুকুতে যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ

 জুমার নামাজের রুকুতে যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ

রাজশাহী : রাজশাহীর বাগমারায় কাদিয়ানি জামে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজের রুকুতে যেভাবে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী নিহত হন তার বর্ণনা দিলেন বেঁচে যাওয়া তিনজন, যাদের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়েই নামাজ আদায় করছিলেন হামলাকারী যুবকটি। হামলায় মারাত্মক আহত ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মুসল্লি ময়েজ তালুকদার (৪০), সাহেব আলী (৩৫) ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নয়নকে (১২) ভর্তি করানো হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা সংবাদকর্মীদের কাছে ঘটনার বিবরণ দেন। সৈয়দপুর গ্রামের স্কুলছাত্র নয়ন জানায়, কয়েকদিন থেকেই মসজিদে কোরআন শিক্ষার তালিম চলছিল। তার বয়সঅ গ্রামের কয়েকজনের সঙ্গে সেও কয়েকদিন ধরে মসজিদে ছিল। শুক্রবার আজানের পর নামাজের প্রস্তুতি শুরু হয়। ওজু করে পেছনের সারিতে নামাজ পড়ার জন্য দাঁড়ায় সে। প্রথম রাকাত নামাজ শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় রাকাতের রুকুতে গেলে বিকট শব্দ কানে আসে। সে ডান কোমরে আঘাত অনুভব করে। নামাজ থেকে ছিটকে অল্প দূরে পড়ে যায় সে। এরপর আর কিছুই বলতে পারে না সে। আহত আরেকজন একই গ্রামের সাহেব আলী তালুকদার। তিনি জানান, মসজিদে ওই যুবককে অনেক আগে থেকেই লক্ষ্য করছিলেন তিনি। পেছনে দাঁড়িয়ে আত্মঘাতী হামলাকারী যুবকটি সুন্নত নামাজ পড়ছিল। নামাজের ফাঁকে তাকে সামনের সারিতে যাওয়ার জন্য বলেন তিনি। তিনি জানান, ওই যুবক সুন্নত নামাজ পড়ার সময় পেছনে থাকলেও জুমার নামাজ শুরুর সময় সামনের সারিতে তার ডান পাশে এসে দাঁড়ায়। যুবকটি একেবারেই স্বাভাবিক ও শান্ত ছিল। রুকুতে যাওয়ার পরই বিকট শব্দ। এরপরই জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আহত ময়েজ উদ্দিন জানান, মসজিদে দুই কাতারে নামাজ হচ্ছিল। তিনি শেষ কাতারে বসেছিলেন। আত্মঘাতী যুবকটি তার সামনের সারিতেই ছিল। মসজিদে প্রবেশের সময় তাকে নামাজ পড়তে দেখেছিলেন তিনি। অপরিচিত মুখ হিসেবে তার দিকে তাকিয়েও ছিলেন তিনি। প্রথম রাকাত শেষ হলেও দ্বিতীয়বারের রুকুতে একটি বিকট শব্দ হয়। এরপরই সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে থাকা আত্মঘাতীকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপরই নিজের তলপেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করেন তিনি। তার শরীর থেকেও রক্ত ঝরছে। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ আদায়কালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মচমৈল চকপাড়া কাদিয়ানি জামে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।। এতে মসজিদের ভেতরেই মারা যায় হামলাকারী। আহত হন মুসল্লি ময়েজ তালুকদার (৪০), সাহেব আলী (৩৫) ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র নয়ন (১২)। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে মসজিদ এলাকা ঘিরে ফেলে। বর্তমানে মসজিদটি ও এর আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখা হয়েছে। ২৫ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে