নিউজ ডেস্ক : করোনা যো'দ্ধাদের সুরক্ষা দিতে রোবট তৈরি করেছে রাজশাহীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থী। দীর্ঘ আড়াই মাসের চেষ্টায় তৈরি করেন এই রোবট। এটি রোগীদের ওষুধ ও খাবার দেবে, তাপমাত্রাও নিতে পারবে। আর চিকিৎসকরা আরেকটি রুমে বসে নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রোগীর সাথে রোবটের মাধ্যমে ভি'ডিও কনফারেন্স করতে পারবেন। এতে করোনা রোগীর সরাসরি সংস্পর্শে আসা চিকিৎসক ও নার্সদের আক্রা'ন্তের হার কমে আসবে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
নিরাপদ দূরত্বে থেকে রোগীদের সেবা শুশ্রূষা দিতে পারলে চিকিৎসকদের সং'ক্রমিত হবার শ'ঙ্কা অনেকটা কমে আসবে। এমন ধারণা থেকে করোনার সামনের সারির যো'দ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পাঁচ শিক্ষার্থী শুভ, সৌরভ, তামিম, খালিদ ও সোহানুর। দীর্ঘ আড়াই মাসের প্রচেষ্টায় তৈরি করেন একটি রোবট।
তাদের দাবি, রিমোটের সাহায্যে এই রোবটের মাধ্যমে রোগীদের ওষুধ ও প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ করা যাবে। আর এতে বসানো হ্যান্ড স্ক্যানারের মাধ্যমে আক্রা'ন্ত ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা যাবে।
উদ্ভাবকদের একজন বলেন, রোগীর সঙ্গে যখন ডাক্তার অথবা নার্সরা সরাসরি যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন তখন কিন্তু আমাদের সামাজিক দূরত্বটা ওইভাবে মেইনটেন হচ্ছে না।
অপর একজন বলেন, ডাক্তাররা যে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে এই রোবটে সেই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করেছি। ডিভাইসগুলো ব্যবহারের পর রিপোর্টগুলো কীভাবে ডাক্তারের কাছে পৌঁছবে, সেজন্য আমরা একটা সার্ভার তৈরি করেছি।
আরেকজন বলেন, অ্যাপের নির্দিষ্ট একটা স্ট্যাটিক আইপি আছে। ওই আইপি ব্যবহার করে পৃথিবীর যেকোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা ডিভাইসটাকে কন্ট্রোল করতে পারবো।শিক্ষার্থীদের রোবট প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক জানান, রোবটের সঙ্গে যুক্ত অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সাহায্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসক ও আক্রান্ত ব্যক্তি কথা বলতে পারবেন ।
বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মো. গোলাম শাহরিয়ার বলেন, স্মার্ট ডিভাইস থাকছে; টেলিমেডিসিন যেটাকে বলে। এটার মাধ্যমে ডাক্তার দূর থেকেই রিয়েলটাইম ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চিকিৎসা দিতে পারবেন। আর বিভাগের এই শিক্ষক সারোয়ার পারভেজ জানালেন, বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে একটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসের মাধ্যমে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, এটাকে যদি আমরা কার্যক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারি সেক্ষেত্রে আমরা স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স এবং কোভিড আক্রা'ন্ত রোগীদের মৃত্যুর হার কমিয়ে নিয়ে আসতে পারবো। আমাদের এটা প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। এজন্য আমাদের সরকারি অনুদানের প্রয়োজন। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা চান সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার পাশাপাশি দ্রুত মাঠ পর্যায়ে এর বাস্তবায়ন। রোবটটি তৈরিতে খরচ হয়েছে পনেরো হাজার টাকা।