নিউজ ডেস্ক : রাজশাহীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এক তরুণীকে ধূমপান করতে দেখে যাচ্ছেতাই ভাষায় গালাগাল করে, ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া আলোচিত সেই ব্যক্তির পরিচয় মিলেছে। ধূমপান করতে দেখে ওই তরুণীর দিকে প্রথমে তেড়ে যাওয়া মাঝবয়সী ব্যক্তিটির নাম শহীদ হোসেন বারেক। তিনি রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সাবেক নেতা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নীল শাড়ি পরা এক তরুণী ও জিন্স প্যান্ট এবং টি শার্ট পরা তরুণ একসঙ্গে ফুটপাতে বসে ধূমপান করছিলেন। এসময় তাদের লক্ষ্য করে এগিয়ে যান শার্ট-প্যান্ট আর মাথায় টুপি পরা শহীদ হোসেন বারেক। তিনি ওই তরুণীকে সিগারেটের আগুন নিভিয়ে ফেলতে বলেন। তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বললে বাক-বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ওই তরুণ-তরুণী সেখান থেকে চলে যান। শুরু থেকেই মোবাইল ক্যামেরায় ঘটনাটির ভিডিও ধারণ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহীদ হোসেন বারেক রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা ছিলেন। পরে তিনি দুইবার নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেন। দুইবারই তিনি পরাজিত হন। বর্তমানে তিনি ঠিকাদারি করেন।
ভিডিওতে দেখা যায়, তরুণীকে ধূমপান করতে দেখে বারেক সিগারেট ফেলে দিয়ে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। পরে স্থানীয়রাও তাদের ধমকাতে শুরু করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়ে যায়। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে বারেক তাকে গলা নামিয়ে কথা বলতে বলেন। তার পরিচয় জানতে চান। উপস্থিত সবাই তরুণ-তরুণীকে ওই স্থান ত্যাগ করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
এসময় ওই তরুণী বারেককে উদ্দেশ্য করে বলেন, মেয়ে বলে তাকে ধূমপানে বাধা দেওয়া হচ্ছে কেন?
সেখানে উপস্থিত একজনকে বলতে শোনা যায়, এভাবে প্রকাশ্যে মেয়ে মানুষ ধূমপান করলে তাদের পাড়ার মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাবে। এক পর্যায়ে তরুণী সিগারেটের আগুন নিভিয়ে ফেলে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হন।
জানতে চাইলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এর সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে পুলিশ খোঁজ নিচ্ছে।