মা শব্দটি সব মানুষের কাছেই প্রিয়। জীবনের সবচেয়ে বড় শ'ক্তি মায়ের দোয়া। পৃথিবীর বুকে আমাদের একমাত্র নিরাপদ আশ্রয়স্থ'ল “মা”। যত আবদার যত অ‘ভি'যোগ সবই মায়ের কাছে। নাড়ী ছে'ড়া ধন সন্তানের জন্য ১০ মাস ১০ দিন শুধু নয়, মায়ের সারাটা জীবন উৎস্ব'র্গ করেও যেন মায়ের তৃপ্তি নেই।
কোলের সন্তান হাফসাকে তার মা মুখে বাতাসের মাধ্যমে কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস স'চল রাখতে বাতাস দিতে দিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টা ৪৭ মিনিট রিকশাতে করে মা তার সন্তানের মুখে মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার চে'ষ্টা করছে। রিকশার সিটের পাশেই বসে শিশু সন্তানের বাবা সজল মাঝে মাঝে সন্তানের নাম ধ'রে জো'রে ডাকছে মা মা বলে। তার শিশুটি সন্তানটি চিরতরে যেন ঘুমিয়ে না যায়। মা আদরের সন্তানটিকে বাঁ'চানোর জন্য সন্তানের মুখে মুখ দিয়ে অক্সিজেন দেওয়ার প্রা'ণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এমন ছবিটি ভাই'রাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনেকের প্রশ্ন ছিল-দুদিন পর শিশু হাফসা কেমন আছে। অবশেষে জানা গেল ২৩ দিন বয়সী হাফসা বেঁ'চে আছে। মায়ের এক ঘণ্টার ল'ড়াই আর সেদিনের চিকিৎসকদের চে'ষ্টায় শিশু হাফসা এখন সুস্থ।
চিকিৎসকরা জানান, শনিবার সকালে হঠাৎ করে শ্বাসক'ষ্ট শুরু হয় শিশু হাফসার। এক পর্যায়ে শিশুটি নি'থর হয়ে পড়ে। মা রেশমা বিষয়টি বুঝতে পেরে কৃ'ত্রিম'ভাবে শ্বাস দিতে দিতে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে শিশুটির চিকিৎসা শুরু হয়। মায়ের বু'দ্ধিমত্তা আর চিকিৎসক-নার্সদের তাৎ'ক্ষণিক উ'দ্যো'গে নতুন জীবন ফিরে পায় শিশুটি। রাজশাহীর মহানগরীর বোয়ালিয়া পাড়া এলাকার রেশমা-সজল দম্পতির কন্যা হাফসা।