রবিবার রাতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার বেলঘড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনা শেষে মোরগ প্রতীকের ইউপি মেম্বার প্রার্থী আবু তালেবের ভোট শূন্য বলে ঘোষণা করা হয়। তিনি এই ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে তখন ওই প্রার্থী প্রশ্ন করেন, ‘আমার ভোটটা গেল কই?’
এদিকে এ ঘটনায় ফুঁসে ওঠেন তার কর্মী-সমর্থকরা। তারা ওই কেন্দ্র ঘেরাও করে আবারও ভোট গণনার দাবিতে শুরু করেন বিক্ষোভ। পরে পুলিশ কয়েক দফায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর আবু তালেবের ভোট আবারও গণনা শুরু করেন সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার। এবার দ্বিতীয় দফায় গণনা শেষে তিনি ৮২ ভোট পেয়েছেন বলে জানানো হয়। যদিও আবু তালেব ও তার কর্মী-সমর্থকরা এই ফলাফল মেনে নেননি। তারা ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন এবং এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী আবু তালেবের দাবি, সব ভোটের সঙ্গে নিজের ভোটটিও চুরি হয়ে গেছে! এজন্য তিনি প্রতিপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করেন।
ঘটনার পর নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, গণনার সময় ভোটের কিছু ব্যালট পেপার টেবিলের নিচে পড়েছিল। যে কারণে ভোট গণনার সময় এই ভুল হয়েছিল। পরে টেবিলের নিচে সেগুলো পাওয়ার পর পুনরায় গণনা করে তাৎক্ষণিকভাবে ফল ঘোষণা করা হয়।