রাজশাহী : দীর্ঘদিনের প্রেম, প্রেম থেকেই বিয়ে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তারা। দুই মাসের বিবাহিত জীবনে আগামীদিনের স্বপ্ন বুনেছিলেন তারা। এরপরই জীবিকার টানে দেশ ছাড়তে হয় তার। চলে যান সৌদি আরবে।
সেই যে যাওয়াই তার শেষ যাওয়া এটা বুঝতে পারেননি নববধূ শারমিন। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান ভালোবাসার মানুষ মহিদুল।
কিন্তু মৃত্যুর ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও দেশে ফেরেনি জীবনসঙ্গীর লাশ। সেই প্রিয়মুখটি দেখা হয়নি শেষবারের মতো। চোখের জলে বুক ভাসিয়ে অপেক্ষা করছেন নববধূ শারমিন।
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ব্যাঙ্গাড়ি গ্রামের আসমত আলীর ছেলে মহিদুল ইসলাম। কষ্টের সংসারে স্বচ্ছতা ফেরাতে মাসখানেক আগে যান সৌদিতে। এক মাস পরিশ্রম করে বেতনও পান তিনি। সেই বেতনের টাকা মায়ের কাছে পাঠাতে ব্যাংকে যাচ্ছিলেন তিনি। পথেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান মহিদুল।
প্রেমিক স্বামীর অকাল মৃত্যুতে স্ত্রী শারমিনসহ পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মাত্র দু’মাসের ঘর সংসারের স্মৃতি ভুলতে পারছেন না শারমিন। সেই স্মৃতির কথা মনে করে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন শারমিন।
২৯ জানুয়ারি তার মৃত্যু হলেও অদ্যাবধি দেশে লাশ না আসায় পরিবারটিতে চলছে শোকের মাতম।
মহিদুলের স্ত্রী শারমিন বলেন, অনেক স্বপ্ন বুকে নিয়ে ঘর বেঁধেছিলাম। কিন্তু সেই স্বপ্ন তছনছ হয়ে গেল।
১০ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম