এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : শীতের শুরুতে রাজশাহীর বাজারে দেশি ও চাষের মাছের সরবরাহ চোখে পড়ার মতো বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় কমেনি দাম; বরং গত এক সপ্তাহে প্রতিকেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
ব্যবসায়ীদের মতে, শীতের এ সময় নদী-খাল-বিলের পানি কমতে থাকায় দেশি মাছ ধরা পড়ছে বেশি। একই কারণে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায় চাষিরাও মাছ ধরছেন। ফলে বাজারে যোগান বাড়লেও চাহিদা বেশি থাকায় দাম কমছে না।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে রাজশাহীর নওদাপাড়া মাছের আড়ত ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই সরগরম বাজার। সরবরাহ বাড়ায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখরিত পুরো এলাকা।
এদিন বাজারে গড়ে প্রতিকেজি মাছের দাম ছিল: রুই ২৭০-২৮০ টাকা, কাতলা ২৫০-২৭০ টাকা, মৃগেল ২২০ টাকা, কালবাউস ২৮০-২৯০ টাকা, বাটা ১৮০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২০০ টাকা, পাবদা ৩৫০ টাকা, চাষের শিং ৪০০ টাকা, চাষের কই ২৪০-২৫০ টাকা, সিলভার ১৮০ টাকা, পাঙাস ২৫০ টাকা এবং মিনার কার্প ১৪৫-১৬০ টাকা।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুরের মাছ চাষি আসাদুজ্জামান আকাশ বলেন, ‘বর্ষাকালে পুকুর থেকে মাছ ধরা কষ্টসাধ্য। শীতকালে পানি কিছুটা কমে যায়, তাই মাছ ধরা সহজ হয়। এজন্য আজ প্রায় তিন মন মাছ বিক্রি করতে বাজারে এনেছি।’
আরেক মাছ চাষি সোহেল বলেন, ‘শীতকালে খাবারের তুলনায় মাছ খুব দ্রুত আকারে বড় হয় না। তাই অনেক চাষিই আগেভাগে মাছ বিক্রি করে দেন। ফলে এসময় বাজারে সরবরাহ বাড়ে।’
রাজশাহীর আমচত্বর মৎস্য আড়ৎ সমবায় সমিতির সভাপতি ইসরাইল হোসেন বলেন, ‘আগামী সপ্তাহ থেকে বাজারে মাছের দাম কিছুটা কমতে পারে।’
নওদাপাড়া বাজারে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকার কেনাবেচা হয়। এখান থেকে মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়।