নিউজ ডেস্ক: সুমাইয়া নাসরিনকে ফুসলিয়ে রাজশাহী এনে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার বাবা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম।
তিনি বলেন, 'কয়েকদিন আগে তার মেয়ে বগুড়ার বাসা থেকে পাবনায় আসেন। বুধবার রাতেও তার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। এরপর আর কথা হয়নি।'
মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার মেয়ের পরিচয় ছিল কি না তা তিনি জানতেন না বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজশাহী সাহেববাজার এলাকায় হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনাল থেকে সুমাইয়া নাসরিন ও মিজানুর রহমানের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, বুধবার রাতে তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে উঠে।
সুমাইয়া নাসরিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষ ও মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে সুমাইয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে শনিবার হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন তার বাবা এসআই আব্দুল করিম। তবে পুলিশ এই হত্যা রহস্যের কোনো তথ্য উদ্ধার করতে পারেনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বোয়ালিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সেলিম বাদশা জানান, শনিবার দুপুরে মিজানুর রহমান এবং সুমাইয়া নাসরিনের ময়নাতদন্ত শেষ করা হয়। এরপর তাদের স্বজনরা লাশ নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান, এর আগে সুমাইয়ার বাবা আব্দুল করিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বলা হয়, তার মেয়েকে অজ্ঞাত খুনিরা ফুসলিয়ে রাজশাহীতে এনে হত্যা করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, নাইস ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায় তাদের ঘরে কাউকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। তারপরও পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে হত্যার বিষয়ে পরিষ্কার হবে।-সমকাল
২৪ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ