রাজশাহী : প্রেমের টানে বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হচ্ছিল বন্ধু। এতে সহায়তা করেছিল তার ছাত্র বন্ধুরা। ফলে সহায়তা করায় সেই ৯ ছাত্রকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা করা হয়েছে।
রোববার দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার তালন্দ ইউপির দেবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলার তালান্দ ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রইচ উদ্দিন বাচ্চুকে সঙ্গে নিয়ে সালিশ বৈঠক বসান। সেখানে উপস্থিতদের সিদ্ধান্তে ওই ৯ ছাত্রের বাবারা তাদের সন্তানদের জুতাপেটা করেন। পরে অভিযুক্ত ছাত্রদের সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীরা জানায়, উপজেলার আড়াদিঘি গ্রামের আরব আলীর ১৮ বছরের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সাকিবুরের সঙ্গে জৈনক ব্যক্তির স্কুলপড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেম হয়।
গত শুক্রবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ছাত্রীকে নিয়ে প্রেমের টানে বাড়ি থেকে বের হয় সাকিবুর। এ সময় প্রেমিকজুটিকে নিরুদ্দেশ হতে সহায়তা করে তার স্কুল ও কলেজপড়ুয়া আট বন্ধু। বিষয়টি ওই ছাত্রীর পাবিরারের লোকজন টের পেয়ে সাকিবুরসহ তার বন্ধুদের আটক করে।
এ নিয়ে মেয়ের বাবা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে অবহিত করেন। পরে পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রইচ উদ্দিন বাচ্চুকে সঙ্গে নিয়ে রোববার রাতে পরিষদ চত্বরে সালিশ বৈঠক হয়। সেখানে প্রত্যেক ছাত্রকে ১০টি করে জুতা মারার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সালিশের সিদ্ধান্তে প্রেমিক সাকিবুরসহ তার বন্ধু সারোয়ার (২০), অমেদ (১৬), সাগর (১৭), মেহেদী (১৮), রনজু (২১), রিপন (২২), মুরাদ (১৮) ও রাকিবকে (১৫) প্রকাশ্যে জুতা পেটা করা হয়।
তালন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জানান, এ বিষয়ে মেয়ের বাবা মীমাংসা চেয়েছেন। তাই আইনগত ব্যবস্থার পরিবর্তে প্রত্যেক ছাত্রকে শারীরিক শাস্তি হিসেবে তাদের বাবারা জুতাপেটা করেন।
তানোর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি তিনি অবগত নন। কেউ অভিযোগ করলে তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২৩ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম