কাজী শাহেদ: বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব, নগর বিএনপির সভাপতি ও রাসিকের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, ‘মোসাদকাণ্ড সরকারের সাজানো নাটক। সরকারের খুন-গুম থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে নিতে এ গল্প সাজিয়েছে। তবে জনগণ সরকারের এ প্রচারণা বিশ্বাস করে না। মোসাদের সঙ্গে বিএনপিকে জড়িয়ে সরকার রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়।’ মিনু অভিযোগ করে বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশন জনগণের শত্রু। এ কমিশনের অধীনে হওয়া নির্বাচন মানুষ ঘৃণার চোখে দেখে। পৌর নির্বাচনের পর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও কমিশন তাদের নির্লজ্জ আচরণ অব্যাহত রেখেছে।’ মিনু বলেন, সরকার প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনপি প্রার্থীদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকার জনপ্রিয় নেতাদের আটক করা হচ্ছে। তার পরও তারা নির্বাচনে আছেন। কারণ বিএনপি একটি নির্বাচনমুখী দল। জনগণের সঠিক ভোট প্রয়োগের কথা মাথায় রেখে এ নির্বাচন কমিশন তাদের আচরণ বদলাবে।
রাজশাহীর পবা উপজেলায় দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা। এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে আন্দোলন করেছে। এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন যে সঠিক হয় না, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তারা দেশের যোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচন চান। মিজানুর রহমান মিনু আরও বলেন, ‘সরকারি দল দেউলিয়া হয়ে গেছে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের দলত্যাগে বাধ্য করতে ভয়ভীতি দেখানোর পাশাপাশি টাকাও আদায় করছে। সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলায় এখন বিএনপির জনপ্রিয় নেতাদের টার্গেট করেছে।’ মিজানুর রহমান মিনু কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব পদে এখন নেই। অপেক্ষায় আছেন দলের মূল্যায়নের। সকালে পদ্মা আবাসিক এলাকার বাড়িতে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে তার ব্যস্ততা বেড়েছে। ছুটছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এখন তার সময় কাটছে জেলার কোনো উপজেলায়। রাজশাহী অঞ্চলে বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কাজ করছেন জানিয়ে মিনু বলেন, রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তারা এখনো সেই অবস্থায় আছেন। বিএনপির শিকড় ১৬ কোটি মানুষের মধ্যে। সরকার পেশিশক্তি ব্যবহার করে বিএনপিকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু তা সফল হবে না। কারণ, সরকারের সঙ্গে পুলিশ-র্যাব ছাড়া আর কেউ নেই।-বিডি প্রতিদিন
২৮ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সবুজ/এসএ