শরীয়তপুর : শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাঁপরাইল গ্রামে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শিরুনা বেগমের (৩৬) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শরীয়তপুর কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার পাঁপরাইল গ্রামের আহম্মদ পালোয়ানের প্রবাসী ছেলে আলাউদ্দিন পালোয়ানের সঙ্গে একই গ্রামের আরবালী সরদারের মেয়ে শিরুনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে আলাউদ্দিন পালোয়ান কাজের উদ্দেশ্যে সৌদিতে চলে যান।
স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই শিরুনা বিভিন্ন বৃত্তবান ছেলেদের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয়। এরই ফাঁদে পড়েছেন পাঁপরাইল গ্রামের শামসুল হক মাঝির প্রবাসী ছেলে আরিফ মাঝি।
আরিফ মাঝি জানান, তার বিক্রিত জমি ফেরত নেয়ার জন্য শিরুনার বাবার কাছে আশা যাওয়া করতেন তিনি। বিয়ে করবে বলে তার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন শিরুনা। পরে আগের স্বামী আলাউদ্দিন পালোয়ানকে ডিভোর্স দিয়ে ২০১৪ সালের মে মাসের ২৫ তারিখে তাকে বিয়ে করেন।
বিয়ের পর আরিফ মাঝি বিদেশ চলে যান। বিদেশ থেকে যতো টাকা ও অলংকার পাঠিয়েছেন তা দিয়ে নিজের নামে জমি ও বাড়ি তৈরি করেছেন শিরুনা। কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারেন, শিরুনা তার মতো আরো অনেক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
আরিফ মাঝি বলেন, এ ঘটনায় আমার মা রওশনারা বেগম বাদী হয়ে শরীয়তপুর কোর্টে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
বুড়ির হাটের নাসির নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমি সৌদি যাওয়ার জন্য শিরুনা ও তার ভাই জসিমকে ১৫ লাখ টাকা দিই। আমাকে বিদেশ না নিয়ে টাকা নিয়ে প্রথম স্বামী আলাউদ্দিন পালোয়ানকে নিয়ে পালিয়েছে শিরুনা। আমি সব হারিয়ে পথে বসেছি।
স্থানীয়রা জানান, শিরুনা অনেক পুরুষের সঙ্গে প্রেমের অভিনয় করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকা দিয়ে এলাকায় জমি ও বুড়িরহাট বাজারে নিজের নামে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে।
তারা আরো জানান, প্রথম স্বামী আলাউদ্দিন পালোয়ান সৌদি থেকে দেশে আসার পরে দ্বিতীয় স্বামীকে ডির্ভোস না দিয়ে প্রথম স্বামীর সাথে অবৈধভাবে সংসার করছে। এ ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার পরে সমাজের মাতব্বররা বৈঠকে বসার জন্য শিরুনাকে চাপ দিলে প্রথম স্বামীকে নিয়ে শিরুনা গ্রাম ছেড়ে উধাও হয়ে যায়। জাগো নিউজ
১৪ আগস্ট ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস