শরীয়তপুর : "আমার মিত্যু দাই না, যোন্ন কেউ" (আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না)। জুতা ও ফেইসওয়াস কিনে না দেয়ায় স্বামীর উপর অভিমান করে মৃত্যুর আগে নিজের হাতে এভাবেই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করেছেন শরীয়তপুরের নববধূ সোনিয়া আক্তার (২০)।
শুক্রবার রাতে ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের কনেশ্বর গ্রামের আলমগীর পেদার বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন সোনিয়া। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৬মাস আগে নড়িয়া উপজেলার বিঝারী ইউনিয়নের বিঝারী গ্রামের মকবুল মোড়লের ছেলে জয়নাল মোড়লের (২৫) সঙ্গে একই উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের সুজাশ্বাড় গ্রামের রুহুল আমিন হাওলাদারের মেয়ে সোনিয়া আক্তারের (২০) বিয়ে হয়। তাদের সংসার ভালোই কাটছিলো।
শুক্রবার বিকেলে তারা স্বামী-স্ত্রী মিলে ডামুড্যা বাজারে কেনাকাটা করতে যায়। কেনাকাটা করে সন্ধ্যা বাড়িতে ফিরলেও জুতা ও ফেইসওয়াস কিনে না দেয়ায় দুজনের মাঝে ঝগড়া হয়। রাতে স্বামী জয়নাল ঘুমিয়ে পড়লে ঘরের কাঠের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সোনিয়া।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১ বছর আগে জয়নাল মোড়ল ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর গ্রামের মাঝিরটেক আলমগীর পেদার বাড়িতে কাজের উদ্দেশ্যে আসেন। বিয়ের পর থেকেই সোনিয়া মাঝে মধ্যে এ বাড়িতে বেড়াতে আসতেন। গত বৃস্পতিবার সোনিয়া তার বোন নুরজাহান বেগমকে নিয়ে আলমগীর পেদার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার রাতে এঘটনা ঘটে।
ডামুড্যা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের পক্ষ থেকে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।-জাগো নিউজ
১৭ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর