ছগির হোসেন : ‘আমার ৫ কানি জমি আছিলো, এই নদী (পদ্মা নদী) খাইছে। শুদু বাড়িটুকু আছিলো তাও ভাইঙ্গা গেলো। আমরা কোতায় জামু ভাই। এভাবেই নিজের কষ্টের কথাগুলো বললেন জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের কলমিরচর রিয়াজউদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রামের মেছের মাদবরের স্ত্রী ৯০ বছরের ছায়রন বিবি।
ছায়রন বিবির সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ছায়রন বিবির স্বামী অসুস্থতার কারণে বিছানাগত অবস্থায় আছেন। তাদের ৫ মেয়ে ২ ছেলে। সবাইকে বিয়ে দিয়ে পাটকাঠির ঘরে অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। তিন বছর আগেও ৭ একর জমি ছিল তাদের। কিন্তু পদ্মার তীব্র ভাঙনে সব হারিয়ে ছোট একটি ঘরে থাকতেন। সেটিও বৃহস্পতিবার ভাঙনের কবলে পরে অর্ধেক ভেঙে গেছে।
তাদের দুই কৃষক ছেলে নিজেদের পরিবার চালাতেই হিমশিম খান। মা-বাবাকে দেখার সময় নেই তাদের। তাই ভাঙন দেখে অসুস্থ স্বামীকে মেয়ের শশুরবাড়ি রেখে পদ্মার পারে বসে কাঁদছেন ছায়রন বিবি।
সরকার বয়স্কদের আর্থিক অনুদান দিলেও ছায়রন বিবির ভাগ্যে জোটেনি সরকারি সেই অনুদানের কার্ড। তাছাড়া বিভিন্ন সময় ভাঙন কবলিত এলাকায় সরকার সাহায্য দিলেও তার ভাগ্যে জোটেনি এর কানাকড়ি।
দুই মাস যাবত নদী ভাঙছে। তবে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে ভাঙন বেড়েছে। তাই কলমির চর গিয়াস উদ্দিন মাদবরের কান্দি গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি সরকার দ্রুত ভাঙন রোধ করে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসুক। -জাগো নিউজ।
৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএস