শরীয়তপুর থেকে : শরীয়তপুরে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের ছোট ভাই ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হকের (৫০) গাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে চেয়ারম্যানসহ চারজন আহত হয়েছেন। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত অন্যরা হলেন- জেলা পরিষদ সদস্য আলম বয়াতি (৪২), গাড়ির ড্রাইভার জাকির হাওলাদার রিপন (৪২) ও বাদল চৌকিদার (৪৫)। উপজেলা চেয়ারম্যান নিজ বাড়ি ভোজেশ্বর নরকলিকাতা থেকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে অফিসের গাড়ি নিয়ে উপজেলা পরিষদে যাওয়ার পথে নড়িয়া থানা সংলগ্ন মাজেদা শওকত আলী হাসপাতালের সামনে একদল লোক তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।
নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম ইসমাইল হক জাগো নিউজকে বলেন, নড়িয়া মাজেদা শওকত আলী হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে ১৫০ থেকে ২০০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার গাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা আমার অফিস ব্যবহৃত গাড়ি (শরীয়তপুর-হ ১১-০০১৬) ভাঙচুর করে। এ সময় গাড়ির ভেতর ছয়জন ছিলাম। হামলায় আমিসহ চারজন আহত হই।
কর্নেল (অব.) শওকত আলী এমপির ছেলে খালেদ শওকতের নির্দেশেই আমার ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনার দল করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। আমাকে হত্যা করতে পারলেই তারা লুটেপুটে খেতে পারবে। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে।
কর্নেল (অব.) শওকত আলী এমপির ছেলে ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ শওকত বলেন, আমি ঢাকায় আছি। আমার দলের লোকজন তার ওপর কেন হামলা চালাবে? ইসমাইল হক বহু নীরহ মানুষকে মামলা-হামলা দিয়ে ভুগিয়েছেন। তারাই হামলা করতে পারে।
নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম উদ্দিন বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ আহতদের উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এমটিনিউজ/এসএস