শরীয়তপুর থেকে : মেয়ের বাবা নেই, পাত্র ভালো। প্রবাসে থাকে। তাই চটজলদি মেয়েকে বিয়ে দিতে চেয়েছেন মা। কিন্তু প্রবাসী পাত্রের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়েতে বাদ সাধেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
তিনি ওই পাত্রের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর বিয়ে ভেঙে দেন। স্কুলছাত্রীর বিয়ে ভেঙে দিয়ে যা করলেন ইউএনও, তাতে প্রশংসা করবেন আপনিও। পরে পরিবারের অসচ্ছলতার কারণে দরিদ্র ওই ছাত্রীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেন তিনি। এ ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায়।
বাল্যবিয়ে থেকে উদ্ধার হওয়া রোকসানা আক্তার (১৬) উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের ছৈয়াল কান্দি গ্রামের বাসিন্দা মৃত মিজান মাঝির মেয়ে। সে সখিপুর ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রোকসানার সঙ্গে তারাবুনিয়া ইউনিয়নের এক প্রবাসী ছেলের বিয়ের আয়োজন করে তাদের পরিবার। বয়সে কম হওয়ার বিষয়টি খবর পেয়ে রোকসানার বাড়িতে গিয়ে তাকে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা করেন ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ। পরে দরিদ্র পরিবার হওয়ায় রোকসানার পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব নেন তিনি।
রোকসানার মা রাবেয়া বেগম বলেন, তারাবুনিয়ার এক ছেলের সঙ্গে আমরা রোকসানার বিয়ের আয়োজন করেছিলাম। পরে ইউএনও এসে মেয়ের বিয়ে ভেঙে দিয়ে লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়েছেন। আর রোকসানাও পড়ালেখা করতে চায়।
সখিপুর ইসলামীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহীন মিয়া বলেন, রোকসানা আমার বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির একজন মেধাবী ছাত্রী। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় ইউএনও স্যার তার বিয়ে ভেঙে তাকে আমার হাতে তুলে দিয়েছেন। এখন রোকসানা আবারও স্কুলে আসা শুরু করেছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাব্বির আহমেদ বলেন, ভেদরগঞ্জ উপজেলাকে বাল্যবিয়ে মুক্ত করার লক্ষে আমাদের উপজেলা প্রশাসন সব সময় কাজ করে যাচ্ছে। রোকসানার পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হওয়ায় তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছি। বাল্যবিয়ে রোধে সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস