শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের নড়িয়ায় নদীভাঙন দুর্গতদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে এসে এ্যাডিশনাল আইজিপি ও র্যাব ফোর্সেস মহাপরিচালক (র্যাব প্রধান) বেনজির আহমেদ বিপিএম (বার) ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের উদ্দেশ্যে বলেন, ছোট সময় থেকে দেখেছি চাঁদপুর জেলার নদী ভাঙন। কত মানুষ ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন। ভিটে মাটি, স্বজন হারানোর ব্যথা আমি বুঝি। আর এ বছরও শুনেছি ও এসে দেখলাম শরীয়তপুর নড়িয়ার নদী ভাঙন। ভাঙনে শরীয়তপুরের ৫ হাজার ৮১টি পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের সাথে কথা বলেছি। তাদের সুখ দুঃখের কথা শুনলাম।
আজ মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৮ এর ব্যবস্থাপনায় শরীয়তপুরের নড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে নড়িয়া মুলফৎগঞ্জ ও বাঁশতালা ভাঙনকৃত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি।
বেনজির আহমেদ বলেন, যারা ভাঙনে নিঃস্ব হয়েছেন, মনের বিশ্বাস, আস্থা হারাবেন না। মন থেকে গরিব বিদায় করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আছেন। পদ্মায় যা কিছু হারিয়েছেন তার চেয়েও বেশি পাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেবেন।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশ হবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী বিশাল সমুদ্র জয় করেছেন।
তিনি বলেন, নদীর তলদেশে পলি পরে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। নদীগুলো ড্রেজিং করে সমুদ্রে ফালাতে পারলে আমরা আরেকটি বাংলাদেশ পাব।
এ সময় ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ১০০ বছর পর বাংলাদেশ কেমন হবে সেটির পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। যার নাম ডেলটা প্ল্যান। প্রধানমন্ত্রী আগামী ১০০ বছরের পর কি করবে সেই ডেলটা প্ল্যান করেছেন।
এ সময় র্যাবের লিগাল এন্ড মিডিয়া ডাইরেক্টর মুফতি মাহমুদ খান, র্যাবের অতিরিক্তি ডিআইজি আতিকা ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের, শরীয়তপুর পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, মেজর খান সজিবুল ইসলাম, শরীয়তপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আল মামুন শিকদার, মাদারীপুর ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাজুল ইসলাম, ফরিদপুর ক্যাম্পের কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোয়েব আহামেদ খান, নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা ইয়াসমিন, নড়িয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আব্দুল ওহাব বেপারী, নড়িয়া পৌরসভার মেয়র শহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর ক্যাম্পের র্যাবের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাজুল ইসলাম জানান, র্যাব হেড কোয়াটারের অর্থায়নে নড়িয়ায় নদী ভাঙন ক্ষতিগ্রস্থ ২০০ পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ত্রাণের মধ্যে রয়েছে চাল, বিস্কুট, ডাল, আটা, চিনি, গুড়, মুড়ি, নুডুস, তেল, ফ্রুটো, ওরস্যালাইন, চা টি (ব্যাগ), হুইল সাবান লাইফবয় সাবান, শাড়ি ও লুঙ্গি। এ ছাড়াও ভাঙনে সব হারানো ৪২পরিবারকে ৪২ বান্ডিল টিন বিতরণ করা হয়।