শরীয়তপুর: ৩০ বছর আগের টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় শরীয়তপুর-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সরদার একে এম নাসির উদ্দিনের (কালু) মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৮১৫ টাকা টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে তার মনোনয়পত্রটি বাতিল ঘোষণা করেন শরীয়তপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী আবু তাহের।
যদিও বিএনপির প্রার্থী সরদার নাছির উদ্দিন কালু বলেন, আমার কোনো টেলিফোন বিল বকেয়া নেই। আমি ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। ২০০৪ সালে শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হই। এতদিন পরে আমার টেলিফোন বিল কিভাবে বকেয়া হলো তা আমার জানা নেই। আমি প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করব।
এ ছাড়াও একই কারণে শরীয়তপু-২ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী বাদল কাজী ও শরীয়তপুর-৩ আসনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী সুশান্ত ভাওয়ালের মনোনয়পত্র বাতিল করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
জানা গেছে, টেলিফোন বিভাগ বাদল কাজীর কাছে ১১ হাজার ৮১ টাকা ও সুশান্ত ভাওয়ালের কাছে ২ হাজার ১২৩ টাকা বকেয়া বিল পাবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, টেলিফোন বিল বকেয়া থাকায় ওই তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই গতকাল রবিবার বিকেল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়। এ সময়ের মধ্যে ওই তিন পার্থী বিটিসিএলের রাজস্ব শাখা ফরিদপুরে বকেয়া বিল পরিশোধ করেন। কিন্তু নির্বাচনী আইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ৭ দিন আগে সকল বকেয়া বিল ও ঋণ পরিশোধ করার নিয়ম থাকায় তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।