রবিবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:৫০:০৮

অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের

অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় হাজার হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের

ডামুড্যা (শরীয়তপুর) : গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ একাংশ নিয়ে গঠিত শরীয়তপুর ৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী সাইদ আহমেদ আসলামকে মনোনয়ন না দেওয়ায় তাঁর সমর্থকরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। নেতাকর্মীদের কান্নার শব্দে ভারি হয়ে ওঠে এই এলাকার বাতাস। এবারের নির্বাচনে শরীয়তপুর ৩ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন পান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নুরুদ্দীন অপু।

শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টায় জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও শরীয়তপুর ৩ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইদ আহমেদ আসলামের বাসায় উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

টানা ১০ বছর ধরে এ আসন তথা শরীয়তপুরে প্রতিটি উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে গরিব মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন তিনি। তাঁকে মনোনয়ন না দেওয়াতে এই অঞ্চলের নেতাকর্মীরা থেকে শুরু করে সকল মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছে। 

তাদের সাথে কথা বলতে গেলে ক্ষোভ ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কি নির্বাচন করব? কার সাথে কাজ করব? কাকে নিয়ে মাঠে নামব? দল যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সে এখনো কারো সাথে যোগাযোগ করে না? আমরা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি করে কি পেয়েছি? এই আসনে যে সারাবছর কাজ করে তাঁকে না দিয়ে যাকে আমরা কখনো কাছে পাইনি তাকে দিয়েছে। দল তূণমূলের কোনো কথাই শোনেনি। আজ আমাদের পরিস্কার করে বলতে হবে আমরা কি কাজ করব কি-না?

সাইদ আহমেদ আসলাম বলেন, এখানে অনেকেই বক্তব্য দিয়েছে, আমি শুনেছি। আপনারা আমার সাথে দীর্ঘ রাজনীতি জীবনে অনেকে মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন। তখনও আমি আপনাদের পাশে ছিলাম, এখনও আছি। আমাকে মনোনয়ন না দেওয়াতে তিন উপজেলার নেতৃবৃন্দ ইস্তফা দিতে চেয়েছিল। আমি দিতে দিইনি। 

তিনি আরো বলেন, লন্ডন গিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে কথা বলি। তিনি আমাকে তখন নেতাকর্মীদের সাথে কাজ করতে বলেছেন। আমরা জাতীয়তাবাদী দলের কর্মী। আমরা দল ছাড়তে পারব না। দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সকলকে নির্বাচনে কৌশল অবলম্বন করে যেতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির জন্য কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আপনারাও সকলে কৌশল অবলম্বন করে নির্বাচন করেন। এমন কিছু করবেন না যাতে আমার দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তার বক্তব্য দেওয়ার সময় অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীদের। 

আলোচনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাইদ আহমেদ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নেতাকর্মীদের শান্ত করার বৃথা চেষ্টা চালান। তাঁকে জড়িয়ে কান্না শুরু করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নেতাকর্মীরা। এ সময় তাঁকেও কাঁদতে দেখা যায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডামুড্যা উপজেলা বিএনপি সভাপতি ফজলুল করিম, ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি আবুল হাশেম ঢালী, গোসাইরহাট উপজেলা বিএনপি সভাপতি তারিক আজিজ মোবারক ঢালী, বিএনপি নেতা সৈয়দ মনিরুজ্জামান, শাহাদাত উকিল, চান মিয়া রাঢ়ি, সাবেক ছাত্রনেতা শ্যামল বেপারী, খলিল মল্লিক, ডামুড্যা উপজেলা জাসাস সভাপতি মো. পলাশ ঢালী, ছাত্রনেতা রিয়াদ মাদবর প্রমুখ।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে