ট্রেনের হুইসেল শুনবে পদ্মার ইলিশ
শরীয়তপুর প্রতিনিধি : আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবেই দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মার ওপর দিয়ে চলবে ট্রেন। আর সেই ট্রেনের হুইসেল শুনবে পদ্মার ইলিশ। পদ্মায় ভরসা ছিল নৌকা আর বৈঠা। আওয়ামী লীগের নৌকা আর বৈঠা ২৩টি জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতুর নদী শাসন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে শনিবার। মুন্সিগঞ্জে যাচ্ছেন তিনি। যাবেন পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর উদ্বোধন করতে শরীয়তপুরের জাজিরা পয়েন্টে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপেক্ষায় পদ্মা পাড়ের মানুষ। সকাল ১০ টায় পদ্মার ওপারে জাজিরা পয়েন্টে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোর চূড়ান্ত পাইলিং স্থাপন কাজের শুভ সূচনা করবেন তিনি।
পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকার মাওয়া চৌরাস্তা সংলগ্ন মাঠে বিকেল তিনটায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা মিলন মেলায় পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি।
তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। জনসভায় দুই লক্ষাধিক মানুষ যোগ দেবেন বলে আশা করেন তিনি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ বাস্তবায়ন করা। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের মধ্যদিয়ে সেই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করবে। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আর স্বপ্ন নয়, পদ্মায় নতুন চিত্রায়নের গল্পটা সত্য। পদ্মা সেতুর সামগ্রিক কাজের এক-চতুর্থাংশেরও বেশি কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হতে চলেছে ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’। দ্রুতগতিতে চলছে কাজ। লক্ষ্য, ২০১৮ সালের মধ্যে পদ্মার ওপর দিয়ে গাড়ি চালানো।
পদ্মা সেতু বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো হতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। প্রতিশ্রুতি রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রকল্পটিকে ঘিরে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কতই না আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে। পদত্যাগ করতে হয়েছে গত সরকারের এক মন্ত্রীকেও। বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েনে একপর্যায়ে এ প্রকল্প থেকে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি তুলে নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু হাল ছাড়েনি শেখ হাসিনা সরকার। প্রকল্পটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে। সময়ের সাহসী নেতা শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পদ্মা সেতু আর স্বপ্নে নয়, বাস্তবে। বিশ্ববাসীর সামনে সক্ষমতা প্রদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেখিয়ে দিলেন নিজেদের অর্থায়নে আমরাও পারি।
১১ ডিসেম্বর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম
�