শরীয়তপুর: শরীয়তপুর পাসপোর্ট করতে এসে ধ'রা পড়েছেন এক রোহিঙ্গা নারী। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পাসপোর্ট ফরম জমা দেয়ার সময় জমা কাউন্টার থেকে তাকে আটক করা হয়। খবর ইউএনবি’র।
আটক নারীর ছ'দ্মনাম শাহিদা আক্তার। তিনি মিয়ানমারে সুখতারা নামে পরিচিত। তিনি জাজিরা উপজেলার পালেরচর (মহন ফকিরের কান্দি) গ্রামের বাবুল ফকিরের স্ত্রী পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে আসেন।
শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সূত্র জানায়, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বাবুল ফকির ও তার স্ত্রী পরিচয়ে শাহিদা আক্তার দুটি পাসপোর্টের পরিপূর্ণ ফরম নিয়ে ফরম জমা কাউন্টারের সামনে লাইনে দাঁড়ান। প্রথমে শাহিদার স্বামী পরিচয়ে বাবুল ফকির ফরম জমা দেন। পরবর্তীতে শাহিদা ফরম জমা দেন। ফরম জমা কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা সহকারী হিসাব রক্ষক সালেহ আহমেদ শাহিদার জবা'নবন্দি গ্রহণকালে স্বামী ও গ্রামের নাম ছাড়া বাংলায় অন্য কিছু বলতে পারেননি। পরে শাহিদাকে আটক করা হয়। এ সময় শাহিদার স্বামী বাবুল ফকির পা'লিয়ে যায়।
শাহিদা কর্তৃক পূরণকৃত পাসপোর্ট ফরম থেকে জানা যায়, তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালের চর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জন্ম সনদ ও পরিচয়পত্র নিয়েছেন। পালের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান নিবন্ধক হিসেবে শাহিদার জন্ম সনদ ও পরিচয়পত্রের নিচে নিবন্ধকের নামসহ সীলমোহরসহ স্বাক্ষর করেছেন। পাসপোর্ট ফরম ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সত্যায়ন করেছেন পূর্বনাওডোবা আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ফাহাদ হোসেন সৌম্য।
আটক ওই রোহিঙ্গা নারী জানান, বাবুল ফকিরের সাথে তার চট্টগ্রামে দেখা হয়। তিনি ওই নারীকে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে শরীয়তপুরে নিয়ে আসেন। সকল কাগজপত্র বাবুল ফকির প্রস্তুত করেন এবং তার স্ত্রী পরিচয়ে পাসপোর্ট করার জন্য তাকে পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক শেখ মাহাবুর রহমান বলেন, এক নারী পাসপোর্ট করার জন্য অফিসে এসে ফরম জমা করে। তার আচরণ ও গ'তিবি'ধি সন্দে'হজনক ছিল। সে শেখানো কয়েকটি বাংলা ভাষা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারেনি। পরে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার সাথে থাকা স্বামী পরিচয়ে বাবুল ফকির নামে এক ব্যক্তি পালিয়ে যায়। এক পর্যায় ওই নারী রোহিঙ্গা নাগরিক বলে স্বীকার করে। আটক নারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
পালং মডেল থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট করতে এসে পাসপোর্ট অফিসে এক রোহিঙ্গা নারী আটক হয়। পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষ তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। আটক রোহিঙ্গা নারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।