নিউজ ডেস্ক: শৈত্যপ্রবাহ আর তীব্র শীতে জবুথবু মানুষ। ঠান্ডায় ঘরের বাইরে যাওয়া দায়। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে থেকে শরীয়তপুরের জাজিরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে দলে দলে আসতে থাকে মানুষ। সবার উদ্দেশ্য সামনা-সামনি জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর বক্তব্য শোনা।
শরীয়তপুরের জাজিরা শামসুল হক শিকদার জামে মসজিদ কমিটির উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ১০তম তাফসিরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শেষ দিন মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে জাজিরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী। তার বয়ান শুনতে লাখো মানুষের ঢল নামে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান। মাঠে জায়গা না পেয়ে অনেকে বাইরে দাড়িয়ে তার বয়ান শোনেন।
এ সময় মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী বলেন, কিছুদিন পরেই পালন করা হবে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। চারদিকে ভালোবাসা, আর ভালোবাসা। আবার বিশ্ব মা ও বাবা দিবসও পালন করা হয়। যারা মা ও বাবা দিবস বছরে একবার পালন করেন তারা মা-বাবাকে বিদ্ধাশ্রমে রাখেন। আর আমরা প্রতিদিন মা বাবাকে ভালোবাসি। তার জন্য ভালোবাসা দিবসের প্রয়োজন হয় না। এ কারণেই এখন জনগণ বাড়ছে কিন্তু মানুষ বাড়ছে না, কমছে। তাই সকলকে কোরআনের আইন মেনে চলতে হবে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হবে।
এছাড়াও মাফফিলে বয়ান করেন নরসিংদী জামিয়া কাসিমিয়া কালিম মাদরাসার প্রধান মুহাদ্দিস মুফতি কাজী মুহাম্মদ ইব্রাহিম, সাভার মারকায নগর তালীমুস সুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেক শরীয়তপুরী।
জাজিরা শামসুল উলুম কামিল মাদরাসার গভার্নিং বডির সভাপতি মো. সেলিম মাদবরের সভাপতিত্বে মাহফিলে অতিথি ছিলেন শরীয়তপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, জাজিরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোবারক আলী সিকদার, সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাসেল, জাজিরা পৌরসভার মেয়র মো. ইউনুস বেপারী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম নুরুল হক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ উপ-কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক।
মাহফিলে আসা মুসল্লিরা জানান, মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ শোনার জন্য দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা। আজকের মাহফিলে মাঠ ভরে বাইরে দাঁড়িয়েও ওয়াজ শুনেছেন মুসল্লিরা।
মাহফিলের আয়োজক মো. সেলিম মাদবর বলেন, প্রায় দুই লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লির অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিল শেষ হয়েছে। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে।