নিউজ ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের প্রা'দুর্ভাব থেকে দেশকে বাঁ'চাতে সারা দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েনের পর থেকে সারা দেশের মত শরীয়তপুরের সর্বত্র জনসচেতনতায় প্রচার প্রচারণাসহ সেনা বাহিনীর টহ'ল অ'ব্যাহ'ত রয়েছে। শুধু করোনা মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টিতেই নয়, তারা কাজ করছেন মনবতার সেবায়ও।
করোনা ভাইরাস সং'ক্রমণ ঠে'কাতে নিজ গৃহে অবস্থান নেওয়া মানুষেরা বেকার জীবন যাপন করায় দরিদ্র পরিবারের পাশাপাশি অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারে দেখা দিয়েছে খাদ্যের অভাব। এদের অনেকেই লোকল'জ্জায় ত্রাণের জন্য ছু'টতে পারছে না। এমন মানুষের মধ্যে রাতের আঁধারে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর কর্মরত অফিসারগণ শরীয়তপুরের স্থানীয় সাংবাদিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে ত'থ্য নিয়ে এবং সেনা সদস্যরা গ্রামে গিয়ে গিয়ে তালিকা তৈরি করে খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছেন। এতে উপকৃত হচ্ছেন শরীয়তপুরের বিভিন্ন এলাকার মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো।
সেনাবাহিনীর খাদ্য সহায়তা অ'ব্যাহ'ত থাকবে বলে জানিয়েছেন ২৮ ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেঃ কর্ণেল সামি উদদৌলা চৌধুরী।তিনি বলেন, করোনা পরিস্থি'তি সম্পূ'র্ণরূ'পে নি'য়ন্ত্র'ণে না আসা পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই খাদ্য সহায়তা তালিকাভু'ক্ত সকল পরিবারের জন্য প্রতি মাসেই অ'ব্যাহ'ত থাকবে।
শরীয়তপুর জেলা শহরের ঢোকার মুল পথ প্রেমতলা, শরীয়তপুর জেলা শহরের চৌরঙ্গি, মনহর বাজারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হয় সেনাবাহিনীর চে'ক পো'ষ্ট। এছাড়াও সম্পূর্ণ জেলা নি'য়ন্ত্র'ণে রাখতে সেনাবাহিনীর টহ'ল অ'ব্যাহ'ত রয়েছে।
সেনাবাহিনীর গাড়ির সাথে করোনা মোকাবেলায় সচেতনতা ব্যানার লাগানো রয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘আতং'ক নয়, সচেতনতায় প্রতিরো'ধের মুল হা'তিয়ার।’ প্রতিদিন একাধিকবার জেলা শহর ও উপজেলা শহরে মানুষকে ঘরে রাখতে নিরাপদে রাখতে টহ'ল দিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী।
এছাড়াও যাতে করোনা আক্রা'ন্ত লকডাউন করা পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে মানুষ অবাধে না আসতে পারে সেই লক্ষ্যে সড়কপথে ও নদীপথের দিকেও নজ'র রাখছে সেনাবাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ সকল স্থানেই বসানো হয়েছে চে'কপো'স্ট। পদ্মা সেতু এলাকা, মঙ্গলমাঝীর ঘাট, কাঠালবাড়ী ঘাট, বালার বাজার ঘাট এলাকায় রয়েছে সেনাবাহিনীর ন'জরদা'রী।