শরীয়তপুর : ডিজিটাল যুগে প্রযুক্তির উদ্ভাবনের শেষ নেই। ঘরে বসেই এখন বিশ্ব দেখা যায়। চাহিদা অনুযায়ী হাতের কাছে পাওয়া যায় জিনিসি। কিন্তু শরীয়তপুরের সদর উপজেলার বড়াইল গ্রামে এর ব্যতিক্রম।
টেলিভিশন দেখা পর্যন্ত নিষিদ্ধ। গত দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে টেলিভিশন দেখতে পারছেন না গ্রামের বাসিন্দারা। দেখার ইচ্ছে থাকলেও ভয়ে অলিখিত এ ফরমান মানতে বাধ্য করা হচ্ছে গ্রামবাসীকে।
ধর্ম লঙ্ঘনের অজুহাত তুলে টেলিভিশন দেখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে এ গ্রামে। যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে, টেলিভিশন দেখা ইসলামের দৃষ্টিতে না-জায়েজ। এ ফরমান জারি করেন স্থানীয় নূরানী মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মো. আবদুল হাই মুন্সী।
জানা গেছে, বড়াইল গ্রামে ১৬ বছর আগে থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। আধুনিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মোবাইল-ফোনসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের ব্যবহারও আছে এ গ্রামে। কিন্তু নেই শুধু টেলিভিশনের ব্যবহার। এ গ্রামে টেলিভিশন দেখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
এলাকাবাসী জানান, বড়াইল গ্রামের উন্নয়নে আবদুল হাই মুন্সীর অনেক অবদান রয়েছে। তিনি জীবিত থাকতে এ গ্রামে কেউ টেলিভিশন দেখতে পারবে না। বড়াইল গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো পুরুষ শিক্ষকও চাকরি করতে পারেন না। যদি কোনো পুরুষ শিক্ষক বিদ্যালয়ে চাকরি করতে চান তাকে মসজিদ ও মাদরাসা কমিটি থেকে বাধা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে আবদুল হাই মুন্সী সাংবাদিকদের বলেন, এ গ্রামে কোনো টেলিভিশন চলবে না। টিভি দেখা না-জায়েজ। এলাকাবাসী আমার কথা শুনে টিভি দেখছে না।
২৮ ফেব্রুয়ারি,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম