এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : ধারের ২০০ টাকা ফেরত না দেওয়ায় ছুরিকাঘাতে মারুফ সরদার (১৯) নামে এক তরুণকে হত্যা করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে তারই বন্ধু রিফাত এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।
বুধবার (১১ জুন) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার মৃত্যু হয় তার। এর আগে রোববার বিকেলে শরীয়তপুরের গোসাইরহাটের চরধীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মারুফ চরধীপুর এলাকার শহিদুল সরদারের ছেলে। তিনি ঢাকার মধ্য বাড্ডায় ফলের ব্যবসা করতেন। ঘটনার দিনই মারুফের বড় বোন পাপিয়া গোসাইরহাট থানায় একটি মামলা করেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মারুফ সরদারের সঙ্গে রিফাতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। বেশ কিছুদিন আগে রিফাতের কাছ থেকে ২০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন মারুফ। তবে তা তিনি ফেরত দেননি।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে মারুফ বাসায় ফিরলে গত রোববার তার কাছ থেকে ধারের টাকা ফেরত চান রিফাত। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে রিফাত মারুফের বাসায় ঢুকে তাকে ছুরিকাঘাত করলে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থার অবনতি হয়।
এরপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রেখে চিকিৎসা করানো হচ্ছিল। বুধবার সকালে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহত মারুফের বড় বোন পাপিয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তার বন্ধু রিফাত তখনই টাকা চান। পরে তিনি আমার ভাইকে মারধর করেন। ভাই তাদের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ি চলে এলে ঘরে ঢুকেই তার পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান রিফাত।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজ বলেন, ধারের টাকা ফেরত না দেওয়ায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করেছিল তার বন্ধু। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। নিহত মারুফের মরদেহ ঢাকার শাহবাগ থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।