 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
শরীয়তপুর : ভুয়া ডাক্তার সেজে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করার সময় হাতেনাতে ধরা খেলেন আসমা আক্তার (২৮)। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১৫ মাসের জেল প্রদান করেছেন।
শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারে ভুয়া ডাক্তার সেজে প্রতারণা করে আসছিলেন রিফা ফার্মেসির আসমা আক্তার। প্রতারণার দায়ে তাকে আটক করে সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আসমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ডাক্তারি কোনো সনদপত্র না নিয়ে ভোজেশ্বর বাজারের রিফা র্ফামেসিতে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে। সাধারণ মানুষের সাথে ডাক্তার সেজে প্রেসক্রিপশান বাবদ নগদ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুল হক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আসমা আক্তারের ডাক্তারি সনদ না থাকায় বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল আইন-২০১০ সালের ২৯/১ ধারায় ১ বছর জেল ও ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো ৩ মাস বিনাশ্রমসহ মোট ১৫ মাসের জেল প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।
এর আগেও কথিত ডাক্তার আসমা আক্তারকে একাধিকবার জেল জরিমানা করেছিলেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নড়িয়া উপজেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একরাম আলী।
নড়িয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামছুল হক বলেন, ডাক্তারি কোনো সনদপত্র না পাওয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ সালের ২৯/১ ধারায় তাকে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম