টাঙ্গাইল : অভাবের তাড়নায় পিষ্ট মা-বাবা মাত্র ২০ হাজার টাকায় বেচে দিলেন ১০ দিনের শিশু পুত্রকে।
ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ঘিওর কোল গ্রামে।
জানা গেছে, নাগরপুর উপজেলার উপকণ্ঠ ঘিওরকোল গ্রামের হতদরিদ্র মো. মাজেদ আলীর পালিত পুত্র মো. লুৎফর মিয়া (৩৫)। সহায় সম্বল বলতে মাত্র ৩ শতাংশ জমি রয়েছে তার।
তিনি একই উপজেলার দক্ষিণ দুয়াজানী গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে ফরিদা বেগমকে (২৫) বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ৩টি পুত্র ও ১টি কন্যা-সন্তান আসে।
সংসারে অভাব ছিল তাদের নিত্য সঙ্গী। সন্তানদের বুকে আকড়ে ধরে নতুন করে বাঁচার চেষ্টা করেন তারা। দু’বেলা দু’মুঠো ভাত সন্তানদের মুখে তুলে দিতে বাবা-মা কর্মের সন্ধানে গাজীপুর চলে যান।
সেখানে নিজে রিকশা আর স্ত্রী ফরিদা বেগম গার্মেন্টে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৬ সদস্যের সংসার চালাতে গিয়ে তার হাঁপিয়ে উঠেন।
চোখের সামনে নেমে অসে ঘোর অন্ধকার। অনাহারে অর্ধাহারে চলতে থাকে তাদের জীবন। অবশেষে ছোট শিশু পুত্রকে বেচে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
সোমবার বিকেলে দেলদুয়ার উপজেলার তাতশ্রী গ্রামের নিঃসন্তান মো. রতন মিয়ার কাছে ১০ দিনের শিশু পুত্রকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
রতন মিয়া ১৫ হাজার টাকা নগদ দেন আর ৫ হাজার টাকা চুক্তিপত্রে পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে শিশু পুত্রকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে রতন মিয়া জানান, বিবাহিত জীবনে নিঃসন্তান তিনি। সন্তানের অভাব পূরণে ওই শিশু পুত্রকে কেনা হয়েছে। লালন পালনে কোনো প্রকার অবহেলা হবে না বলে জানান তিনি।
৩০ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম