বৃহস্পতিবার, ০৮ মার্চ, ২০১৮, ০৯:১১:০৮

প্রেমিকের কবরের পাশেই শায়িত এলিনা!

প্রেমিকের কবরের পাশেই শায়িত এলিনা!

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার প্রেমিক যুগল জাহিদুল ও এলিনা। দুজনই বাড়ি একই এলাকায়। প্রায় বছর খানেক আগে দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। এবারের এসএসসি পরীক্ষার অংশ নিয়েছে জাহিদুল। এলিনা নবম শ্রেণির ছাত্রী। পাশাপাশি বাড়ি হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রতিদিনই দেখা হতো। ভালোই চলছিল তাদের প্রেম।

সম্প্রতি জাহিদুলের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। এরপরই জাহিদুল প্রেমিকা এলিনাকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। তবে ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করবে এটা চান মা-বাবা। এ কারণে প্রতিষ্ঠিত না হয়ে বিয়ে করা যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় জাহিদুলের পরিবার। ফলে অভিমান করে পরিবারের অজান্তে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে জাহিদুল।

জাহিদুলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়ে এলিনা। জাহিদুলের মৃত্যুর পর সে কারও সঙ্গে তেমন একটা কথা বলতো না। স্কুলে যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছিল। সব সময় মন মরা হয়ে থাকতো। প্রেমিকের মৃত্যুর শোকে অবশেষে এলিনা চিরকুট লিখে একই কায়দায় গত ৫ মার্চ (সোমবার) আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

এলিনা চিরকুটে লিখে যায়- তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। মৃত্যুর পর তার মরদেহের যেন ময়নাতদন্ত না করা হয়। আর জাহিদুলের কবরের পাশেই যেন তাকে কবর দেয়া হয়। পুলিশ নিয়ম অনুযায়ী এলিনার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করে। তবে এলিনার চিরকুট অনুযায়ী পরিবার তাকে জাহিদুলের কবরের পাশেই কবর দেয়।

ঘটনাটি ঘটেছে বাসাইল উপজেলার বাংড়া গ্রামে। জাহিদুল ইসলাম (১৭) বাসাইল উপজেলা বাংড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আর এলিনা আক্তার (১৫) একই এলাকার কালু মিয়ার মেয়ে।

বাসাইল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাছিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এলিনার একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

বাংড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম লিটন বলেন, চিরকুটের দাবি অনুসারে ওই ছেলের কবরের পাশেই মেয়েটিকে কবর দেয়া হয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে